নওগাঁর মহাদেবপুরের হাটে বাজারে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এমনিতেই বাজারে আলুর দাম বেশী। তার উপর ফিবছর আগাম আলু বাজারে উঠলে প্রথমদিকে দাম থাকে প্রচুর। এবার আগাম চাষীরা যেমন ফলন পেয়েছেন ভালো, তেমনি দামও উচ্চ। এক কথায় যারা আগাম আলু চাষ করেছেন তাদের অবস্থা এখন পোয়াবারো।
শনিবার মহাদেবপুর উপজেলা সদরের হাটে আগাম জাতের ষাটাল আলু উঠেছে। দাম প্রতিকেজি ১২০ টাকা। পুরাতন আলু প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু ওঠায় ক্রেতারা নতুন আলুই বেশী কিনছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় জানালেন, এবার রবি মওসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১৩০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। আলুর ফলন ভালো হয়েছে। গত কয়েক দিনের শীত ও কুয়াশায় আলু ক্ষেতের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিলেও কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও কৃষকদের পরির্চযায় তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানান তিনি। তিনি জানান, আলুচাষে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠপর্যয়ের অফিসাররা কৃষকদের নিয়ে উঠোন বৈঠক ও রোগ বালাই সম্পর্কে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছেন।
মহাদেবপুর সদর ইউনিয়নের বালুকাপাড়া গ্রামের আলুচাষী অমিয় কুমার মন্ডল জানান, তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আলু চাষ করছেন। এবারও ১১ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছেন। এর মধ্যে ৫ বিঘা জমিতে আগাম জাতের ষাটাল আলু চাষ করেছেন। এসব আলু আগামী ২০ থেকে ২২ দিনের মধ্যেই বিক্রির জন্য বাজারে তুলবেন। বাকি ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান কাটার পর কার্ডিনাল ও ষাটাল জাতের আলু রোপণ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আলুর রোগ বালাই কম হওয়ায় আলুর ক্ষেত ভাল হয়েছে। ফলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। আগাম জাতের ষাটাল আলু প্রতি বিঘায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ হারে পাঁচ বিঘা জমিতে মোট ১৭৫ থেকে ২০০ মণ আলু উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন তিনি। বাজার মূল্য ভালো পেলে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাভ হবে।
তার মত উপজেলার আরও চাষীরা আলুর ভালো ফলন ও ভালো দাম আশা করছেন।