নীলফামারী চিলাহাটি ও ভারতের কোচবিহারের হলড়িবাড়ি পর্যন্ত নবনির্মিত রেললাইন পরিদর্শন করলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহম্মদ ইমরান। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নবনির্মিত রেললাইনের শেষ কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি, নিরাপত্তা ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করণসহ সীমান্তবর্তী সব ধরনের সমস্যা-সম্ভাবনা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সীমান্তবর্তী অঞ্চল ও স্থলবন্দরগুলো পরিদর্শন করছি। মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশ-ভারত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত এবং সুপারিশমালা দুই দেশের সরকারের কাছে তুলে ধরবো। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি-সংহতি, নিরাপদ বাণিজ্য ও নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকলের সংশ্লিষ্টতা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর এ পথে চলতি মাসেই (ডিসেম্বর) পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এতে উভয় দেশ উপকৃত হবে। দুই দেশের মানুষের চলাচল বাড়বে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ স¤পর্ক আরও উন্নয়ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে দুপুর সোয়া দুইটায় তিনি ভারতের হলদীবাড়ী রেলস্টেশন হতে বিশেষ একটি রেলেরট্রলিতে নবনির্মিত রেললিঙ্ক সীমান্ত ফটক দিয়ে তার সহধর্মীনী সহ বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করেন।
এলাকায় পৌঁছালে সেখানে নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, ৫৬ বিজির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মামুনুল হক, পশ্চিমাঞ্চল রেলের চিলাহাটি রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আবদুর রহীম তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর মুহম্মদ ইমরানকে বাংলাদেশের বিশেষ গ্যাংকার ট্রলিতে চিলাহাটি রেলস্টেশন পরিদর্শনে নিয়ে আসা হয়। চিলাহাটি রেলষ্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি বিকালে পুনরায় একই পথে ভারতে ফিরে যান। ভারত এলাকায় তার সঙ্গে ছিলেন, কোচবিহারের এডিএম হিমাদ্রি সরকার, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের চিফ ইঞ্জিনিয়ার জেপি সিংহ, ৬২ বিএসএফ কমান্ডার সহ প্রমুখ।
উল্লেখ, প্রায় ৫৫ বছর পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ আবারও চালু হচ্ছে। বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে পুরোনো যে রেললাইনটি ছিল, সেটা ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়।