করোনাভাইরাসের কারণে সিনেমাহলগুলো বন্ধ থাকায় একাধিক প্রতীক্ষিত ছবি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্লাটফর্মে। ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে কিনা, ব্যবসা করতে পেরেছে কিনা তা সহজেই বোঝা যায় না। তবে ছবিগুলো যদি ওটিটিতে না মুক্তি পেয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেত, তাহলে কত আয় করতো? এমনটা জানার কৌতুহলী লোকেরও অভাব নেই। লকডাউনে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর দর্শক প্রতিক্রিয়া, সমালোচকদের দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করে বলিউড হাঙ্গামা অনুমান নির্ভর বক্স অফিসের খতিয়ান জানিয়েছে দিল বেচারা, গুলাবো সিতাবো, গুঞ্জন সাক্সেনা এবং শকুন্তলা দেবীর মতো সিনেমাগুলোর। ওটিটিতে মুক্তি না পেয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে ছবিগুলো কেমন আয় করতো?
দিল বেচারা: সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’। এই ছবিকে ঘিরে ভক্তদের আবেগ জড়িয়ে ছিল। ছবিটি আলোচিত হলেও বক্স অফিসে ছবিটি আয় কতে পারতো বড়জোর ১২ থেকে ১৫ কোটি রুপি। অর্থাৎ ছবিটি ফ্লপ হতো।
লুটকেস: কুনাল খেমু, রণবীর সোরে এবং বিজয় রাজ অভিনীত এই ছবি বক্স অফিসে আয় করতো বড়জোর মাত্র ৪ থেকে ৬ কোটি রুপি। এই ছবিটিও হতো ফ্লপ।
গুলাবো সিতাবো: অমিতাভ বচ্চনের সিনেমা। সুজিত সিরকারের ‘ভিকি ডোনার’, ‘পিকু’ সফলতা পেয়েছিল। তাই ‘গুলাবো সিতাবো’ নিয়েও সবাই আশাবাদী ছিলেন। তার ওপর ছবিতে আছেন অমিতাভ বচ্চন। তারপরেও এই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে ফ্লপ হতে পারতো বলেই মনে করছেন ট্রেড অ্যানালিস্টরা। ছবিটির বক্স অফিস আয় হতো ২৫ থেকে ৩০ কোটি রুপি!
শকুন্তলা দেবী: বিদ্যা বালানের অসাধারণ অভিনয়ও এই ছবির ভাগ্য বদলাতে পারেনি। ওটিটিতে মুক্তির পর খুব একটা দর্শকপ্রিয়তা পায়নি। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও ছবিটি ফ্লপের কাতারে নাম উঠতো। আয় করতো বড়জোর ২৫ থেকে ৩০ কোটি রুপি।
গুঞ্জন সাক্সেনা- দ্য কারগিল গার্ল: ওটিটিতে চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত ছবি ‘গুঞ্জন সাক্সেনা’। ছবিটি মুক্তির পর প্রশংসা পায় দর্শক ও সমালোচকদেরও। ট্রেড অ্যানালিস্টদের মতে, এই ছবিটি যদি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেত তবে আয় করতো ৫৫ থেকে ৬০ কোটি রুপি।
খুদা হাফিজ: অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই ছবি দর্শকপ্রিয়তা পায়নি ওটিটিতে। ২৫ থেকে ৩০ কোটি রুপি আয় করে ফ্লপের কাতারে নাম লেখাতো বলে মত বিশ্লেষকদের! -বলিউড হাঙ্গামা