“ড্রোন দিয়ে শিল্পকারখানাগুলির বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থা সার্ভিলেন্স করা যেতে পারে। ড্রোন শত্রুকে ঘায়েল বা বাসায় পিজ্জা সরবরাহের জন্য নয়, ড্রোন প্রযুক্তি দিয়ে অনেক বড় বড় অর্থনৈতিক ও মানবিক কাজ করা যেতে পারে। ইতোমধ্যে শিল্পকারখানার দূষিত বর্জ্যে ঢাকার চারপাশে প্রবাহিত বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ জর্জরিত। মুনাফার লোভে শিল্পকারখানার অধিকাংশ মালিক ইটিপি চালায় না। এখানে ড্রোন দিয়ে দূষণ সনাক্ত করলে আইনের প্রয়োগ সহজ হবে। রোববার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে “পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের গুরুত্ব এবং ড্রোন প্রযুক্তির সুফল” সম্পর্কে এক সিরিজ বিজ্ঞান বক্তৃতায় স্কাউট সদস্যদের উদ্দেশ্যে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “দেশে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, কিন্তু বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ব্যাপক অপচয় হচ্ছে। দিনের বেলায় বহু ভবনে অপ্রয়োজনীয় বাতি জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে। এটা দেশপ্রেমহীনতার দৃষ্টান্ত। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়। বিজ্ঞানের অবদানকে লাগামহীন ভোগে নিঃশেষ করা যাবে না। মহান আল্লাহ অপব্যয় করতে নিষেধ করেছেন।আল্লাহর দেয়া প্রকৃতির শৃংখলকে মেনে প্রাকৃতিক সম্পদের পরিমিত ব্যবহার এবং ভোগকে সীমিত রাখতে হবে। অপচয় এবং দূষণ বন্ধে স্কাউট আন্দোলনকে কাজে লাগাতে হবে।” এ অনুষ্ঠানে স্কাউটসের ৩৬ জন সদস্য ও শিক্ষকসহ অর্ধশত অতিথি অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের পুরস্কৃত এবং ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।