বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আক্রমণ করে না, কিন্তু আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একবিন্দুও পিছ পা হয় না। আমরা উদ্রবাদী গোষ্ঠিকে স্পষ্ঠভাবে বলতে চাই, আপনারা অনেক করেছেন, এনাফ ইজ এনাফ, এবার থামুন। বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু মানে মুক্তিযুদ্ধ, আর বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করা মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আঘাত করা। আমি উদ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আমাদের কর্মীদের শান্ত রেখেছি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে কেউ ঘরে বসে চুপ করে থাকবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা কারও স্বার্থের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, ইতিহাসের স্মারক হিসেবে মধ্য প্রাচ্যের প্রতিটি মুসলিম প্রধান দেশে নানা রকমের ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানে কোন দিন কোন প্রশ্ন উঠেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলেমরা, ইসলামি চিন্তাবিদরা কোনদিন প্রতিবাদ করেনি। সেখানে বাংলাদেশে হঠাৎ করে কেন এত দ্বন্দ্ব। একটা শ্রেণীর লোকজন উদ্দেশ্যমূলক ভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। এর পেছনে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক দূরভিসন্ধি রয়েছে। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এই রাজনৈতিক দূরভিসন্ধির বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অর্ধশতক যুগের বেশি সময় ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুদার ভাস্কর্য রয়েছে। সেই মধুদার ভাস্কর্যও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদেরও একটা ধৈর্য্যরে সীমা আছে। ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙে যেতে দিবেন না। একটা মীমাংসীত বিষয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করবেন না।
রোববার নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি কোনো প্রকার উস্কানিতে বিভ্রান্ত না হয়ে বিবেক ও অন্তর দিয়ে বাস্তবতা অনুধাবন করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে নরসিংদী পৌরসভা মিলনায়তনে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল (অব:) ফারুক খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিল্পমন্ত্রী এড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট এ.বি.এম. রিয়াজুল কবির কাউছার, নরসিংদী সদরের এমপি লে: কর্নেল (অব:) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতীক), নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের এমপি জহিরুল হক ভূইয়া মোহন, জেলা আওযামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী, নরসিংদী পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, মাধবদী পৌর মেয়র মোশারফ হোসেন প্রধান মানিকসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ। তবে জেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতি প্রাপ্ত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নরসিংদী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আবদুল মতিন ভূইয়া বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন না। বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে বর্ধিত সভাস্থলের আশপাশে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সমর্থকগণ বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত করে তুলে।