ফেনী জেলা প্রশাসন অফিসে চৌকিদার-দফাদারদের পোশাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে আসা এক ঠিকাদারকে বাধাঁদানসহ অপহরণের অভিযোগে সদরের ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে মামলার পর তাদের আটক দেখায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ।পরে সোমবার দুপুরে জাকির হোসেনের আদালতের মাধ্যমে আসামীদের কারাগারে পাঠানো হয়। অপহৃত ঠিকাদার খলিলুর রহমান অভিযোগ করেন, গ্রাম পুলিশের পোশাক সরবরাহের জন্য ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিতে ‘মাটি আর মানুষ’ নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র দাখিল করতে রোববার সকালে ডিসি অফিসে যান। এ সময় সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া সহ বেশকজন যুবক তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে তার উপর নির্যাতন চালায় এবং মোবাইল ও দরপত্র'র কাগজ কেড়ে নেয়। একপর্যায় খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধ্যায় কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলায় চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া, সফিকুল ইসলাম স¤্রাট, মো. সালা উদ্দিন, মো. রাসেল হোসেন, কামরুল হাসান সাব্বিরসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়ন জাহানপুরের পাটোয়ারী বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে স¤্রাট (২৪), মোয়াজ্জেম বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০), সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছাড়ের সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহাম্মদের ছেলে কামরুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩) এবং ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়ার শাহাদাত হোসেনের ছেলে রাসেল হোসেন (২৭)।
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর হায়দার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অপহৃত ঠিকাদার খলিলুর রহমান টাঙ্গাইলের ধরবাড়ী উপজেলার ইসপিরাজপুরের বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া।তিনি জানান শর্শদীর কোনো যুবক এতে জড়িত থাকতে পারে। তাই আমাকে এতে জড়ানো হয়েছে।