ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে আসন্ন ৩য় পৌরসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর যাতাকলে দাঁড়িয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। আ.লীগ বিএনপি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটের মাঠে তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী। রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অনেকের চেয়েও সমাজে গ্রহণযোগ্য এবং মানবিক মানুষ হিসাবে পরিচিত তিন ব্যক্তি ইতোমধ্যে প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক সারা ফেলেছেন। এতে বেশ চিন্তিত রাজনৈতিক দলগুলো।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ইতোমধ্যে প্রচারে নেমেছেন পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান,তিনি ইতঃপূর্বে একটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে গঠিত পৌরসভা এলাকায় তার বাড়ী পড়ে গেলে তিনি পৌরসভার বাসিন্দা হয়ে পড়েন। পড়ে তিনি ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মৌখিক সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী তোয়াহাকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।তবে বিভিন্ন কারণে ২য় পৌরসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হননি। সে হিসাবে পৌরসভা এলাকায় তার এখনো বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষ করে এলাকায় পুরনো মুরব্বী ও শিক্ষিত মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিকট তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
অপরদিকে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসাইন মিষ্টিভাষী পরোপকারী এবং উদীয়মান তরুণ নেতা হওয়ায় তিনিও পৌর এলাকায় ময়-মুরব্বী শিক্ষিত মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। তাছাড়াও কিশোর যুবক শ্রেণীর মানুষদের সাথেও তার বেশ সখ্যাতা রয়েছে। এর কারণ তিনি সমাজে ব্লাড ডোনারের কাজ, গরীব মানুষের বিভিন্ন সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ সমাজের উদীয়মান তরুণ ছেলেদের নিয়ে করায় তাদের সাথে তার খুব সখ্যাতা সৃষ্ঠি হয়েছে। এছাড়াও পৌর এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বংশীয় দান করা সম্পত্তিতে নির্মাণ হওয়ার সুবাধেও তাদের এলাকায় বংশীয় পূর্ব পরিচিত রয়েছে। তবে মোকাররম হোসাইন ২য় পৌরসভা নির্বাচনে ২০দলীয় জোটের সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করে আ.লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার বর্তমান মেয়র আলমগীর সরকারের কাছে খুবই কনটেষ্ট করে পরাজিত হন। সে হিসাবে গেলবারের হেরে যাওয়ায় ভোটারদের সহানুভুতি এবং পূর্বের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মোকাররম বেশ এগিয়ে রয়েছেন ভোটের মাঠে।
এদিকে একেবারে নতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা দিয়ে কোমর বেধেঁ মাঠে নেমেছেন পৌরশহরের সন্ধারই (কলোনী) এলাকার বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল খালেক,তিনি সমাজে দানশীল ক্রীড়াপ্রেমী হিসাবে পরিচিত এছাড়াও সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহ বিভিন্ন সামাজিক কাজ র্দীঘদিন ধরে করে আসায় তিনি বেশ জনপ্রিয় পৌরসভার ভোটারদের কাছে। এছাড়াও তার নিজস্ব একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে তার এলাকায়। সে নিজেকে মেয়র প্রার্থী হিসাবে ঘোষনা দেওয়ায় তার নিজ বাড়ী এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বেশ বিপাকে পড়েছে। কারণ সে তাদের কাছেও খুব জনপ্রিয় ও আস্থাশীল যুবক হিসাবে পরিচিত বলে অনেক রাজনৈতিক দলের নেতা মন্তব্য করেছেন। এদিকে এই তিন প্রার্থী ভোটের মাঠে নামায় বেশ বিপাকেই পড়েছেন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতারা।
আ’লীগের মনোনয়ন পেতে ভোটের মাঠে প্রচারে নেমেছেন প্রায় ১১ প্রার্থী এরা হলেন, বর্তমান পৌর মেয়র উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলমগীর সরকার পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর সরকার সম্পাদক ভিপি রফিউল ইসলাম উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ.লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক ও আ.লীগ নেতা সাধন বসাক মহিলা নেত্রী তসদিকা বেগম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নওরোজ কাওসার কানন সাবেক ছাত্রনেতা রুকুনুল ইসলাম ডলার আ.লীগ নেতা অনুপ বসাক,ইসেৎগার আলী। এদের মধ্যে আ.লীগের নওরোজ কাওসার কানন রুকুনুল ইসলাম ডলার আহাম্মদ হোসেন বিপ্লব মোস্তাফিজুর রহমান ও বর্তমান পৌর মেয়র আলমগীর সরকার দীর্ঘীদন ধরে ভোটের মাঠে প্রচারনা চালিয়ে আসছেন।
বিএনপির মনোনয়ন পেতে ভোটের মাঠে রয়েছেন পৌর বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক শাহাজাহান আলী পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি পান্না বিশ্বাস উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সম্পাদক ও সভাপতি এম আর বকুল মজুমদার। বিএনপির মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা বকুল মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টির চুড়ান্ত দলীয় মনোনয়ন ইতোমধ্যে উপজেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির নেতা ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর পেয়েছেন বলে দলীয় সুত্রে জানা গেছে।
উপজেলা সার্ভার ষ্টেশন কর্মকর্তা আখিঁ সরকার জানান, পৌর নির্বাচন ৪র্থ ধাপের ১৪ ফেব্রুয়ারীতে অনুষ্ঠিত হবে। এ পৌর সভায় বর্তমান মহিলা ভোটার সাত হাজার তিনশত আটত্রিশ জন ও পুরুষ সাত হাজার দুইশত ছিরাশি জন, এতে সর্বমোট ভোটার চৌদ্দ হাজার ছয়শত চব্বিশ জন।