হোটেলে দই বিক্রি নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদে মাইকিং করে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন দুই গ্রামের মানুষ। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষের সময় মোটরসাইকেল ও চার্জার ভ্যান ভাঙচুর করা হয়েছে।
শনিবার রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রেজাউল ইসলাম (৫৫)। তিনি চারঘাটের শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম মৃত হালিম উদ্দিন ওরফে হাকিম।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে আহত অবস্থায় রেজাউল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্তত ৮ ব্যাক্তিকে আটক করেছে চারঘাট মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে চারঘাট শিশিতলা বাজারে হোটেলে দই বিক্রি কেন্দ্র করে বিরোধে দীঘলকান্দী গ্রামের এক ব্যাক্তির হোটেল বন্ধ করে দেয় শিবপুরের কয়েকজন যুবক। তারই জেরে কয়েকদিন আগে শিবপুর এলাকার কয়েকজন যুবককে মারধর করে মোটরসাইকেল কেড়ে নেন দীঘলকান্দী গ্রামের কয়েকজন যুবক। এ বিষয়টি নিয়ে ধরে দুই গ্রামের মানুষের মাঝে উত্তেজনা চলছিল। শনিবার সকালে দুই গ্রামবাসীর সমঝোতায় বসার কথা থাকলেও মসজিদে মাইকিং করে দুপক্ষই লোকজন জড়ো করতে থাকে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চারঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নুরে আলম সিদ্দীকি, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু ও চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম। তারা দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন।
হঠাৎ দুপুর ২টার দিকে দীঘলকান্দী গ্রামের সবুজ আলী ও আবু শামা দেশীয় অস্ত্র হাতে শিবপুর গ্রামের লোকদের উপর হামলা চালান। এতে আবারও শুরু হয় সংঘর্ষ। পরে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ সবুজ ও আবু শামাকে আটক করে পুলিশ।
চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত কয়েকদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আমরা দুপক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছিলাম। এরইমধ্যে দুপুরে আবার সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান চলমান আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।