খুলনার পাইকগাছায় বিষপানে স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলটি করেছেন নিহত ছাত্রীর বৃষ্টির পিতা ফারুক সরদার। এ ঘটনায় পুলিশ ভিলেজ পাইকগাছা গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আবুল কাশেমকে আটক করেছেন। এদিকে স্কুল ছাত্রীর লাশের ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ভিলেজ পাইকগাছার উত্তর পাড়ার ফারুক সরদারের ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে বৈশাখী আক্তার বৃষ্টির সাথে স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত ডিবি পুলিশ সদস্য মাজেদ সানার ছেলে মারুফুল হক প্র্রন্স প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। একসময় প্রিন্স কৌশলে বিয়ের প্রস্তাব এড়িয়ে গেলে বৃষ্টি বিষন্নতায় ভোগে। একপর্যায়ে ১১ জানুয়ারি মা-বাবার সাথে রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে প্রবেশ করে। বাবা ফারুক সরদার জানান, রাত ১২ টার দিকে কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে ঘরে গেলে বৃষ্টি বিষপানের কথা জানায়। ঐ রাতে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আনা হয়। তার শারিরীর অবস্থার অবনতি ঘটলে খুলনায় নিয়ে যাবার পথে রাত সাড়ে ৪ টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলায় পৌঁছালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। সোমবার পুলিশ নিহতের সুরতহাল রিপোট করে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে বৃষ্টি বিষপানের পূর্বে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রিন্স (বাবু) প্রতি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে অনেক মন্তব্য লিখেছেন। যা পুলিশ সংগ্রহ করেছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন প্রিন্স একজন বখাটে এবং ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে মেয়েদের উক্তত্য করার অভিযোগ হলে থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফারুক সরদার বাদী হয়ে প্রিন্স ও ওয়ার্ড সদস্য আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার থানায় মামলা করেছেন, যার নং-১২। ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. আশরাফুল জানান, বখাটে প্রিন্সের সহযোগিতা করার অভিযোগে নিহতের পিতার দায়ের করা মামলায় ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।