শ্রীনগরে বাবা ও সৎ মায়ের মারধরের শিকার আহত ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করান হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। রবিবার দুপুর সারে ১২ টার দিকে উপজেলার ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাবা ও সৎ মায়ের মারধরের শিকার ভূক্তভোগী নাহিদ আলম (১৮) জানায়, তার বাবা রফিকুল শেখ(৬০) এর সাথে কারনে অকারনে তার মা নাসিমা বেগমের ঝগড়া হতো। আর পারিবারিরক কলহের জের ধরে তার বাবা রফিকুল ইসলাম গত ইংরেজি ২০১৮ সালের ১৮ মে তার মা নাসিমা বেগমকে ঘুষি মারলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে নাক মুখদিয়ে রক্ত বের হতে থাকলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৫ দিন ঢাকা জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডর্সশিপ মেডিকেলে রাখার পর ১০ জুন তিনি মারা যান। মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাস যেতে না যেতেই বাবা রফিকুল শেখ অন্যত্র বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে যায়। এ বয়সে বিয়ে না করার জন্য আমরা সবাই বারন করি। এক সময় পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয় বাড়ির জায়গা আমাদের সব ভাইদের লিখে দেওয়ার পর সে বিয়ে করবে। কিন্ত কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বিয়ে করে ফেলেন। এর পর থেকেই বাবা ও সৎ মা মিলে বাড়ি থেকে আমাদের তাড়ানোর জন্য নানা ধরনের কৌশল খাটাতে থাকে। এক পর্যায়ে বাবা ও সৎ মা মিলে সিদ্ধান্ত দেয় বাড়িতে থাকলে হলে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। সৌদি প্রবাশী আমার দু’ভাই নাজিম ও নাজমুল প্রতি মাসে আমার কাছে টাকা পাঠালে আমি সাথে সাথে আমার সৎ মা আলেয়া বেগম(৪২) এর কাছে দিয়ে দেই। দুপুরের দিকে এ মাসের ৫ হাজার টাকা দিতে গেলে তিনি বলেন, বাড়িতে থাকতে হলে ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আর এ টাকা নিয়ে বাবা ও সৎ মায়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হঠাৎ বাবা রফিকুল, মা আলেয়া, তার বোন পাশর্^বর্তি মিনারা(৩২)সহ তার স্বামী ঈসরাফিল(৪০) আমাকে বেধর মার ধর করে আহত করে। পরে মারাত্বক আহত অবস্থায় নিকট আত্বিয়-স্বজন আমাকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ব্যপারে নাহিদের বড় ভাবী রোকসানা বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ হয়ে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।