বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক নীরিহ পরিবারের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দখলকারিরা হামলা চালিয়ে ওই পরিবারের চার নারীসহ সাত জনকে আহত করেছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক এদেরমধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। খবর শুনে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে দখলবাজরা পালিয়ে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার পস্তুতি চলছিল।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের শ্যামপাড়া গ্রামের একটি বিরোধপুর্ন জায়গায় জিন্নাত আলী মীরের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লোক জোরপূর্বক ঘর তুলতে যায়। এ সময় সরোজ কুমার গাইনের পরিবারের লোকজন আপত্তি জানালে জিন্নাত মীরের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় সত্যজিৎ রানা (৫৫), বাসন্তী রানা (৫০), মৃন্ময় রানা (২৭), দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন (৫৬), ববিতা গাইন (৪৫), আলোমতি গাইন (৪৬) ও অঞ্জলী গাইন (৪০) আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমকেন্দ্রে ভর্তি করেন। এদেরমধ্যে সত্যজিতের অবস্থার অবনতি হলে ডাক্তার তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
আহত দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন বলেন, জিন্নাত আলী মীর আমাদের বাপ-দাদার শত বছর আগের ভোগদখলীয় জমি জোর পূর্বক দখল করতে আসে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমি ও আমার বড় ভাই গাইন সরোজ কুমার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবহিত করি। তাদের নিষেধকে উপেক্ষা করে জিন্নাত ওই জায়গায় ঘর তোলে ও আমাদের ৭ জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জিন্নাত আলী মীর বলেন, আমি ওদের শরীক বিধান গাইনের কাছ থেকে আমার ক্রয়কৃত জমির উপর দোকান ঘর নির্মান করতে গেলে দ্বিজেন গাইন আমাদের বাঁধা দেয় ও হামলা করে। হামলায় আমাদের ২-৩ জন লোক আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক জানান, ঘর তৈরির খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।