খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটির ভৈরব নদীর তীরে মরমী কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জন্ম।সংরক্ষণের অভাব, অযতœ ও অবহেলার কারণে কবির আবাসভূমি বর্তমান গুটি কয়েক স্মৃতি নিদর্শনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। মরমী এই কবির জন্মস্থানের পুকুরসহ এক একরেরও বেশি জমি বেদখল হয়ে পড়েছে। দিঘলিয়ার এই মরমী প্রেমিক লোকজন খুলনার বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনসহ কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে কবির স্মৃতিচারণসহ নানা সমস্যা নিয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণী একাধিক অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কিন্তু সেনহাটির এই মরমী কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের জায়গা বেদখলমুক্ত করে পুরনো দিনের স্থাপনা নিদর্শন হিসেবে গড়ে তোলা বা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার এতটুকু দোলা লাগাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।বরং কবির জায়গায় ইট বালু রেখে ব্যবসা করছে নানা মহল।স্মৃতিস্তম্ভ,কংক্রিটের বেঞ্চ ও নামফলক ছাড়া যেন আর কিছুই নেই।মাঝে মধ্যে এ সবের সাথে গরু ছাগল বেঁধে রাখতে দেখা যায়। সেনহাটি নিবাসী জনৈক রাজনীতিক ও সাংবাদিক শেখ মনিরুল ইসলাম জানান,কবির এ জায়গার ৩৩ শতকের উপর ১৯০৭ সালে কবির মৃত্যুর পর ১৯১৪ সালে গড়ে তোলা হয় কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইনস্টিটিউট। সরকারি তেমন কোন পৃষ্ঠপোষকতা বা রক্ষণাবেক্ষণেরঅভাবে কালের স্মৃতি হয়ে পড়েছে। সুগন্ধী নিবাসী জনৈক বিদ্যানুরাগী ও সমাজসেবক মোল্লা মাকছুদুল ইসলাম জানান, আগে পাঠ্য বইয়ে এই কবির অনেক নীতি কবিতা অন্তর্ভুক্ত ছিল। শৈশবে শিশুরা এসব কবিতা পড়ে অনেক নীতি কথা শিখেছে।বর্তমানে কবির কবিতা পাঠ্য বইয়ে নেই বললেই চলে।পাঠ্য বইয়ে কবির এই নীতি কবিতা অন্তর্ভুক্ত থাকা দরকার। সেনহাটি আলহাজ¦ সারোয়ার খান ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ মোঃ আসিফ আলতাফ জানান,কবির অনেক কাব্য গ্রন্থ বর্তমানে অবহেলার কারণে বিলুপ্ত প্রায়।খুলনা প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কবির আবাসভূমিকে পুরাকীর্তি ঘোষনা করা হয়েছে।সংরক্ষণের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। বাকী যে সব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা আমরা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেব।