খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় আগামী ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচারণা ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ের জন্য কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চালাছে প্রচারণা ও গণসংযোগ। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সেলিম জাহাঙ্গীর আর কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হচ্ছেন অ্যাড. প্রশান্ত কুমার মন্ডল। ১৯৯৮সালে ১লা ফেব্রুয়ারি পাইকগাছা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান আয়তন ২দশমিক ৫২বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ২১ হাজার। পৌরসভার ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত মোট ভোটার সংখ্যা ১৪হাজার ৪শত ৩১জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭হাজার ৭শত ৩ জন এবং নারী ৭হাজার ৩শত ৫৮জন। নির্বাচনে কেন্দ্র ৯টি এবং বুথ ৪৩টি। পৌর এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে নির্বাচনী প্রচারণা আর গণসংযোগে এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. সেলিম জাহাঙ্গীর আর তার কর্মীরা। উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ দলের সব সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের দেখা গেছে প্রচারণায়। অপরদিকে পিছিয়েনেই কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী। লিফলেট বিতরণ, বিকাল থেকে মাইকিং এবং প্রার্থী ও সমর্থকরা ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামালউদ্দীন আহমেদ জানান, মেয়র পদে ২জন, ৩টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করছেন। তবে তিনটি পদের জন্য মোট মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন ৪৯ জন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর পদে একজন মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই কালে বাদ পড়েন, তবে আপিল করার সুযোগ থাকলেও তিনি আপিল করেননি। ১নং ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্ব›িদ্ধ না থাকায় বিনা প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় পাশ দেখানো হয়েছে। তা ছাড়া মেয়র পদে ৩জন মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও পত্যাহারের শেষ দিনে বিএনপির প্রার্থী মনিরুজ্জামার মনি পত্যাহার করে নিয়েছেন। উপজেলা রির্টানিং কর্মকর্তা কামালউদ্দীন আহমেদ আরো জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে। ভোট গ্রহণের জন্য প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রসহ সব কেন্দ্রে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল টিম মোতায়েন থাকবে। পাইকগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি জানান, পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ বাহিনী সতর্ক অবস্থায় আছে। এ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রয়েছে। তিনি আশা করছেন নির্বাচন পরবর্তী সময় পর্যন্ত এ রকমই থাকবে।