রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশার কারণে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২ টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সাড়ে ৯ ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাড়ে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।এতে করে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের প্রায় ৩ কিঃ মিঃ পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সারি হয়েছে। অপরদিকে ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার অদূরে রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় অপচনশীল পণ্যবাহী ৩ শতাধিক ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় সিরিয়াল আটকা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নদী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাত পৌনে ২ টার দিকে নৌপথ কুয়াশার চাদরে ঢেকে ফেলে।এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে রাত ২টার দিকে কতৃপক্ষ যে কোন ধরনের দূর্ঘটনা এড়াতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করে। শুক্রবার সকাল ১১ টায় কুয়াশার ঘনত্ব কিছুটা কমে আসলে ফের ফেরি চলাচল শুরু হয়। গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে ফেরি চলাচল টানা সাড়ে ৯ ঘন্টা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।এ দিকে ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত গৌণ সৌচাগার না থাকায় নারী ও শিশুদের চরম সমস্যায় পরতে হয়। অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১২ কিলোমিটার অদূরে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড়ে প্রায় ৩ শতাধিক পন্যবাহি ট্রাক সিরিয়ালে থাকতে দেখা গেছে। ট্রাকগুলো দিনের পর দিন সড়কে আটকে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মাহাবুব আলী সরদার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। রাত ২ টার দিকে কুয়াশার কারণে নদীপথ অস্পষ্ট হয়ে ওঠায় দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে আসায় শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে এ রুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে।দূর্ভোগ কমাতে আটকে থাকা যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পার করা হচ্ছে।