ব্রহ্মিণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আঘাতে উপজেলা চেয়ারম্যানের মোহাম্মদ হানিফ মুন্সির ভাই নিহত।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক একটায়।
ঈুলিশ এবং নিহতের বড় ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সি জানান,শুক্রবার সন্ধ্যায় চরচারতলা গ্রামের ৬নম্বর ওয়ার্ডেও মেম্বার সাদ্দাম হোসেনের সাথে উপজেলঅ পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সির ছোট ভাই মুমিন মুন্সির সাথে দোকানে চা খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথাকাটি হয়।এই কথাকাটাকাটির জের ধরে রাত আনুমানিক একটায় চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার,উপজেলা যুবদলের সভাপতি সেলিম পারভেজ,সাদ্দাম মেম্বার,সাদ্দাম মেম্বারের বাবা আবদুস শহিদ,যুবলীগ নেতা শফিকের নেতৃত্বে অন্তত দুইশতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই অতর্কিতভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালায়।্এসময় উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই জামাল মুন্সি ডাকাত হামলা করেছে মনে তার ঘর থেকে বের হয়ে গেইটে গেলে হামলঅকারীরা তার উপর দেশীয় অস্তশস্ত্র দিয়ে কয়েক বার আঘাত করে।এতে জামাল মুন্সি গুরুতর আহত হয়।।গুরুতর আহত জামাল মুন্সিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জামালকে মৃত ঘোষনা করে। উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ মুন্সি বলেন,মুলত আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার,উপজেলা যুবদলের সভাপতি সেলিম পারভেজ,সাদ্দাম মেম্বার,সাদ্দাম মেম্বারের বাবা আবদুস শহিদ,যুবলীগ নেতা শফিক আমাকে খুন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে আমার ভ্ইা জামালকে খুন করে। যেখানে আমার নিরাপত্তা নাই সেখানে সাধারণ জনগণ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।আমি আমার পরিবার সম্পুর্ন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।প্রশাসনের কাছে আমি এই নৃশংস ঘটনার সাথে যারা প্রকৃতভাবে ঝড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্ছ শাস্তি দাবী করছি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ মাহমুদ বলেন,ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনি।বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।পরিস্থিতি যেন অশান্ত না হয় সেজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।তবে এখনও মামলা হয়নি।মামলঅ হলে তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আটক করা হবে বলে তিনি আশ^াস দেন।