সিলেটের জকিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি। কনকনে শীত আর করোনা ভীতি উপেক্ষা করে মেয়র কাউন্সিলর প্রার্থী, দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থরা চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচার। মাইকিং, গণসংযোগ, পথসভা, পোস্টার, লিফলেট, ব্যানারে পুরো পৌর এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ।
এ নির্বাচনে বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.খলিল উদ্দিন আওয়ামী লীগের নেীকার প্রার্থী। নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে তার সাথে লড়াইয়ে নেমেছেন প্রয়াত মেয়র আনোয়ার হোসেন সুনা উল্লাহর পুত্র, নৌকার প্রার্থী খলিল উদ্দিনের ভাতিজা উপজেলা যুবলীগের পদত্যাগকারী আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর আবদুল আহাদ।
বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী হচ্ছেন জকিগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ইকবাল আহমদ। চামচ প্রতীক নিয়ে তার বিরুদ্ধে মাঠে লড়াই করছেন তার এক সময়ের শিষ্য উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন হিরা।
এ ছাড়া এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত প্রচার সম্পাদক ফারুক আহমদ(জগ)। আল ইসলাহ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পৌর আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা কাজী হিফজুর রহমান(মোবাইল ফোন), জাতীয় পার্টিও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সাবেক মেয়র আবদুল মালেক ফারুক, স্থানীয় সোনার বাংলা সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জাফরুল ইসলাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন হ্যাঙ্গার প্রতীক নিয়ে। এ নির্বাচনে সংরৎিশত ওয়ার্ডে ৯ জন মহিলা, কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ পৌরসভায় বর্তমান ভোটার ১২ হাজার ৩শ ৩৮। জকিগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পরেও সেই গ্রাম্য কাঠামোর পৌরসভার শ্রেণি পরিবর্তন না হওয়ায় ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভায় প্রত্যাশিত উন্নয়নও নেই।