দিঘলিয়া উপজেলার দেয়াড়া- দৌলতপুর খেয়াঘাটের বেহাল অবস্থা। দুই পারের পাকা ঘাট ভেঙ্গে পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইজারাদারদেরও নৌকা মালিকসহ মাঝিদের নানামূখী অনিয়মের কাছে পারাপার যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। সাধারণ পারাপার যাত্রীদের মালামাল সহ পারাপার দ্বিগুন মাশুল গুনতে হচ্ছে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও নিরব।
সূত্র থেকে জানা যায়, খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ভৈরব নদীতে ৭টি খেয়াঘাটের অন্যতম ঘাট হচ্ছে দৌলতপুর বাজার খেয়াঘাট। যে ঘাট দিয়ে প্রতিদিন
৮/১০হাজার লোক পারাপার হয়। পাশাপাশি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন পার হয় কয়েক হাজার বস্তা চাল, ডাল ও হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশুর খাবার সহ অন্যান্য মালামাল।
খুলনা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ঘাট অন্যান্য ঘাটের সাথে নতুন করে ডাকও হয়নি। ঘাটে ইজারাদারদের নিজস্ব একাধিক যন্ত্র চালিত নৌকা থাকার নিয়ম থাকলেও তাদের কোনো নৌকা নেই। কিন্তু তারা পারাপার যাত্রীদের নিকট থেকে২টাকা করে টোল আদায় করে এবং মালামালের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকে। ঘাটে
মাঝিদের ভাড়া করা নৌকা থাকে। মাঝিদের মালিককে নৌকা ভাড়া দিতে হয়।
অপরদিকে ইজারাদাররা ঘাট খাজনা বাবদ মাঝিদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০/৩০
টাকা করে আদায় করে থাকে। মাঝিরাও লোকজনের কাছ থেকে পারাপারের জন্য ২
টাকা করে এবং মালামালের জন্য অতিরিক্ত টাকা করে আদায় করে থাকে। যাত্রীদের যেখানে ২ টাকা টোল দিয়ে নদী পার হওয়ার কথা সেখানে প্রত্যেক যাত্রীকে ৪ টাকা টোল দিতে হচ্ছে।মালামালের ক্ষেত্রেও দ্বিগুন টাকা দিতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে সুজন নামে জনৈক ঘাট ঠিকাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান,সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নৌকার মাঝি ও মালিকদের কাছে জিম্মি। ঘাটের নৌকা অপসারণ করুক। আমরা আমাদের চুক্তি অনুযায়ী ঘাটে নৌকা দিব। আমাদের ইচ্ছে থাকা সত্বেও ঘাটে নৌকা দিতে দিচ্ছেনা। তাহলে আমরা টোল কম নেব কেন? ভুক্তভোগী মহলের জিঞ্জাসা,দৌলতপুর খেয়াঘাটসহ ৭টি খেয়াঘাটের এ অনিয়ম সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কী কোন দায়িত্ব নেই? খেয়াঘাটগুলোর এ পারাপার যাত্রী বিড়াম্বনা কতদিন ধরে চলবে? এদিকে দুই পারের পাকা ঘাট ভেঙ্গে পারাপারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মালামাল ও যাত্রী পারাপার ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত লোকজন পড়ে গিয়ে হাত পা ভাঙ্গছে। ভুক্তভোগীরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেনা।