রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদকে দেয়া সরকারি বাড়ি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে এক কুচক্রি মহল। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করাও হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান, মৃত. মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদের ছেলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মালেকা বেগম, ছোট ছেলে রেজা শিপলুসহ অন্যান্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১৯৭২ সাল থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত. হারুন-অর-রশীদকে সরকারের এ্যাভান্ডেন্ট ক-লিস্টের দেয়া মোহাম্মদপুরের ওই বাড়িতে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। এরইমধ্যে আ. রহমান গাজী নামের এক প্রতারক এক রাজাকারের সহায়তায় ওই বাড়ির ভুয়া দলিল করে এবং সকলের অগোচরে আদালতে মামলা (মামলা নং-২৫/৮৫) করে একতরফা ডিগ্রি গ্রহণ করে। তা কার্যকর করতে আরেকটি মামলা করেন (মামলা নং-১৩/৯৪)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরো বহু সরকারি বাড়ি কৌশলে দখল করারও অভিযোগ রয়েছে। আ. রহমান ও মো. মোনাছেব হাওলাদার যোগসাজশে মোক্তারনামামূলে মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম ও তাহেরা তাবাস্্সুমের সাথে বাড়িটি বিক্রির বায়না করেন। কিন্তু টাকা নিয়ে বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় মুহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম ও তাহেরা তাবাস্্সুম আদালতে মামলা করেন।
মুক্তিযোদ্ধার ওই বাড়িটি যেন প্রতারকদের খপ্পর থেকে তার পরিবারের সদস্যরা ফিরে পান এবং ওই বাড়িটি আত্মসাতের চেষ্টাকারী প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে পূর্ণ তদন্ত করে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইন ও বিচারমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান ভুক্তভোগী ওই পরিবারের সদস্যরা।