বিজ্ঞান জাদুঘর ’এর বর্তমান পরিবেশ এবং কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ ও অভিভূত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অংশীজনেরা। নিমজ্জমান এ প্রতিষ্ঠানটি এখন ক্রমান্বয়ে পরিবেশ বান্ধব, শিক্ষার্থী বান্ধব এবং দর্শক বান্ধব হয়ে অপরূপ সাজে সজ্জিত হচ্ছে, এ অভিমত প্রকাশ করেছেন আজ জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আগত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং বিজ্ঞান ক্লাবের সদস্যরা। মঙ্গলবার বিজ্ঞান জাদুঘরের সামগ্রিক কর্মকান্ডের উপর শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া জানতে এবং উত্তরোত্তর উন্নয়নে পরামর্শ গ্রহণ করতে আয়োজন করা হয় প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানীর। এতে অংশগ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল এন্ড কলেজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স গার্ডেন বিজ্ঞান ক্লাব এর পক্ষে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। বক্তরা বিজ্ঞান জাদুঘরের বর্তমান তৎপরতায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। বক্তারা বলেন বইপত্র থেকে যা মুখস্থ করা হয়, বিজ্ঞান জাদুঘর সফরে এলে সেই মুখস্তবিদ্যা প্রায়োগিক জ্ঞানে পরিণত হয়। গণশুনানিতে বক্তারা গ্রামাঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীদের এনে বিজ্ঞান জাদুঘরের সাথে সম্পৃক্ত করা, ফ্রী টিকেটে পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা, আধুনিক ক্যান্টিন নির্মাণ, জাদুঘর অভিমুখী সড়ক ও ফুটপাতকে অবৈধ দখলমুক্ত রাখা, ঘনঘন বিজ্ঞান প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। গবেষণা ও উদ্ভাবনী কাজে আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের সুপারিশ করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চোধুরী বলেন, “রাতদিন বিজ্ঞান জাদুঘরের উন্নয়নে আমরা নিবেদিত এবং শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের দ্বার উন্মুক্ত। কঠোর অনুশাসন ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে।” গণশুনানীর পর “পরিবেশ দূষণ রোধে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা”, “কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা” ও “বিজ্ঞানসম্মত খাদ্য ব্যবস্থাপনা” এ তিনটি বিষয়ে বিজ্ঞান বিষয়ক বক্তৃতা এবং পাঁচটি পৃথক পৃথক কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। এছাড়াও গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থীকে কোভিড-১৯ ’এর স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।