শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার সকাল ৬টা ও ৯টায় শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান আনিস এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, গত ২০ ও ২৯ ডিসেম্বর শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও গত ২৩ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি, ২৪ জানুয়ারি ৯.৭ ডিগ্রি এবং ২৬ জানুয়ারি ৮.৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এছাড়াও গত ১ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আনিসুর রহমান আরো জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে গেছে। এখন মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
দিনের বেলায় সুর্যের উপস্হিতিতে শীত তেমন অন্ভুুত না হলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে অনুভুত হতে থাকে শীত। রাত যত বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। কনকনে ঠা-া ও তীব্র শীতে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার চা-বাগানেগুলোতে ও গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভা-ার থেকে প্রাপ্ত ৫ হাজার ৬০০ কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সংস্হা উপজেলার দরিদ্র ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল ও শীতবস্ত্র বিতরন করছে।