দেশের উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র পর্যায়ের চা চাষিদের জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান ও হাতেকলমে চা চাষ সম্পর্কে ধারনা দেয়ার নিমিত্তে শ্রীমঙ্গলে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিদের নিয়ে চা আবাদি বিষয়ক ৪ দিনের মোটিভেশনাল শিক্ষা সফরের আয়োজন শুরু হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট সুত্র জানায়, মোটিভেশনাল শিক্ষা সফরে চা বোর্ডের কর্মকর্তা ও উত্তরাঞ্চলের ক্ষুদ্র চা চাষিদের সমন্বয়ে ১২ সদস্যের একটি টিম অংশগ্রহণ করছেন। শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে আজ শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” এর ব্যানারে “বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদি ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত সেমিনারে পঞ্চগড়স্থ বাংলাদেশ চা বোর্ডের ঊর্ধবতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিডিইউ'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক।
সেমিনারে বিটিআরআই'র বিভাগীয় বিজ্ঞানীরা চায়ের জাত নির্বাচন, চারা রোপন, প্লাকিং, টিপিং, প্রুনিং, সার প্রয়োগ, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ও হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
কর্মশালার রিসোর্স পারসনগণ তাঁদের বক্তব্যে উত্তরাঞ্চলের চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। কর্মশালার অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অবস্থিত নিউসমনবাগ চা বাগানের সেকশনে প্রশিক্ষণার্থীদের চা চারা রোপন, প্রুনিং, প্লাকিং, সার প্রয়োগ, পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন এবং কারখানায় উন্নত মানের চা প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে হাতেকলমে দেখানো হয়। ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ আলী খান, ব্যবস্থাপক, নিউসমনবাগ চা বাগান।
প্রসঙ্গতঃ বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি মহোদয়ের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ক্ষুদ্র চা চাষিদের দোরগোড়ায় প্রশিক্ষণ সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে “ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুল” মডেলে মাঠ পর্যায়ে এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ওই মোটিভেশনাল শিক্ষা সফরের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র পর্যায়ের চাষিরা সঠিক উপায়ে চায়ের পাতা চয়ন, সার প্রয়োগ ও পোকামাকড়-রোগাবালাই দমনে সক্ষম হবে ও তাঁদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এতে সমতলে চা চাষের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে বলে আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।