আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকায় পানিউন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্থ বোর্ডের বেঁড়িবাধ নির্মাণ ও দীর্ঘমেয়াদী ত্রাণ ও পুণর্বাসন সহয়তা সহ জলবদ্ধতা নিরশনের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারক্ষলিপি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও উপজেলা পানি কমিটির নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী' মাধ্যমে এ স্বারক্ষলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পনি কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবিএম অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ময়নুল ইসলাম, উপজেলা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আঃ রাজ্জাক মলঙ্গী, সম্পাদক তোকারম হোসেন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক স্নেহেন্দু বিকাশ, উত্তরণ প্রতিনিধি দীলিপ সানা, শিক্ষক সুকৃতি মোহন সরকার, উত্তরণের তালা প্রোগ্রাম মনিটারিং কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার শিখা, দেলুটি কারিতাস প্রতিনিধি লুইস সরকার, সুদিপ্ত মন্ডল, নাজমুল হুদা সহ অনেকে। পানি কমিটি স্বারক্ষ লিপিতে উল্লেখ করেছেন ২০২০ সালে ২০মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে উপকূলীয় এলাকা খুলনার পাইকগাছা-কয়রা বিভিন্ন পোল্ডার সহ দাকোপ ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার পাউবোর বেঁড়িবাধ লন্ড-ভন্ড হয়ে পোল্ডারে লবণ পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঘরবাড়ী ধ্বংস হয়। মাছের ঘের ও জলাশয় তলিয়ে যায়। তেমনি ফসল হানী ঘটে। সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা। লক্ষ-লক্ষ মানুষ পড়ে দুর্ভোগে। দেখা দেয় অর্থনৈতিক সংকট। এ অবস্থায় সরকারী ভাবে ও বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা ও এনজিও বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। কিন্তু সংকট এখনো কাটেনি। এলাকার জলাবদ্ধতা নিরশনে কপোতাক্ষ নদ, হাড়িয়া, গুনাখালী, হাবরখালী, কড়ুলিয়া, শিবসা নদী খনন, লবণপানি মুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সহ নেতৃবৃন্দ ৬০ দশকের বেঁড়িবাধকে টেকসহি করার জন্য সরকারের ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবী করেছেন।
এদিকে স্বারক্ষলিপি গ্রহণ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে টেকসহি বেঁড়িবাধ সহ কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলার জন্য সরকারের মহা পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য আমরা কাজ করছি এবং বিশেষ করে সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু সম্প্রতি পার্লামেন্টে বিভিন্ন দাবী উর্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে যার বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে।