কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বুধবার সকাল ১০ টায় জিসিএ প্রকল্পের এক ওরিয়েন্টেশন ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবনাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার ও জিসিএফ-এর যৌথ অর্থায়নে এবং জাতিসংষ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর সহায়তায় প্রকল্পটি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং জাতীয় প্রকল্প পরিচালক, জিসিএ প্রকল্প মোঃ ইকবাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এস. এম. শফিকুল ইসলাম। উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রেকটর নাজমুল হুদা ও উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা ইসকিতা আফরিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিসিএ প্রকল্পের আঞ্চলিক প্রকল্প ব্যবস্থাপক অশোক অধকিারী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আলম, কয়রা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেসমা আক্তার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মিঠুন রায়, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আমির আলী গাইন, আঃ ছাত্তার পাড়, আব্দুল্যাহ আল মামুন লাভলু, মোহাঃ হুমায়ুন কবির, কবি জিএম শামছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তফা শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান মনু, প্রভাষক আনিসুজ্জমান, ইউপি সচিব সুমন মন্ডল, ইউপি সদস্য সুলতানা মিলি প্রমুখ। অবিহতকরন সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ‘‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে ও কিছুকিছু মনুষ্যসৃষ্ট কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষভাবে খুলনা জেলার মানুষ অত্যন্ত ঝুঁকিতে বসবাস করছে। জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে কয়রা উপজেলার মানুষেরা আরও বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আয়লার ক্ষতচিহ্ন শেষ না হতেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল সহ আম্পান অত্র এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, ফসলে জমি, জীবিকা এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর জলবায়ু সহনশীল জীবিকা ও পানীয় জলের সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকার এর সহায়তায় ‘‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবনাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ” শীর্ষক নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মধ্যে প্রথম জিসিএফ প্রকল্প যেটি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে নারীদের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছে। কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি সহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।