ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে চতুর্থ দফায় অনুষ্ঠিত পৌরসভার ভোটে এবারের মেয়র পদে ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এতে নির্ধারিত সংখ্যক ভোট না পেয়ে জাতীয় পার্টি, বিএনপি আ'লীগের ৬বিদ্রোহীসহ মোট ৯ জন মেয়র প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হতে বসেছে।
স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) নির্বাচন বিধিমালা ২০১০ অনুসারে, নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তার আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসাবে ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে ১২ প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ৯ জনই জামানত হারাচ্ছেন। ১৪ ফ্রেরুয়ারী অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে মোট ভোট পড়ে ১১ হাজার ৭১৬ টি। সে অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীর জামানত ফেরত পেতে হলে কমপক্ষে ১ হাজার ৪৬৩ ভোট পেতে হতো। নির্বাচনে ২ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসাইন ইস্ত্রি প্রতিক নিয়ে ২ হাজার ৩৭১ ভোট। আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর সরকার(বহিস্কৃত) ক্যারামবোড প্রতিকে ২ হাজার ৩২১ ভোট। বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুন নবী পান্না বিশ্বাস পান মাত্র ৪৪৮ ভোট। জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন পান ৪৯৮ ভোট অন্যদিকে মেয়র পদে আ.লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আফম রুকুনুল ইসলাম ডলার রেলইঞ্জিন প্রতিক নিয়ে ৪৭৪ ভোট। উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক (বহিস্কৃত) আবদুল খালেক জগ প্রতিক নিয়ে ১২৮৫ ভোট।
পৌর আ.লীগের সম্পাদক (বহিস্কৃত) রফিউল ইসলাম কম্পিউটার প্রতিক নিয়ে ৯০৩ ভোট। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি (বহিস্কৃত) নওরোজ কাউসার কানন চামচ প্রতিক নিয়ে ১৩৩ ভোট। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক সাধন বসাক নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে ২৩১ ভোট।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও আ.লীগ নেতা (বহিস্কৃত) ইসতেখার আলী মোবাইল ফোন প্রতিকে ৩৯ ভোট এবং সাবেক মেয়র মোখলেসুর রহমান হেঙ্গার) ৭ ভোট পান।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আঁখি সরকার জানান, ১৪ ফ্রেরুয়ারী অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়ী হন। ১৪ হাজার ৭শত ২ ভোটের মধ্যে ১১ হাজার ৭শত১৬ ভোট সংগ্রহ হয়েছে যা শতকরা উনআশি ভাগ। এতে ২ শত ভোট বাতিল হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সংখ্যক ভোট না পাওয়ার কারণে ৯ মেয়র প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।