আশাশুনি সদর ইউনিয়ন ও শোভনালী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চাম্পাফুল অচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠে কমিটির সদস্য, শিক্ষক, অভিভাক ও সুধীজনদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় স্কুলের হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির (এডহক) সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নীলকন্ঠ সোমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক গাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রধান শিক্ষক আবদুল হাকিম। সহকারী শিক্ষক আবু হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আজীবন দাতা সদস্য, ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম গাইন, সমাজসেবক তছলিম রহমান বাবু, অভিভাবক সদস্য গোলাম কবির, অগ্রনি ব্যাংক ম্যানেজার তাপস কুমার সোম, বিআরডিবি কর্মকর্তা মুকুল সোম, ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ফরহাদ হোসেন নয়ন, প্রাক্তন শিক্ষক আঃ রাজ্জাক গাইন, প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, অভিভাবক দেছের আলি মোড়ল ও সাবেক এসএমসি সহ-সভাপতি আবু বক্কর ছিদ্দিক। সভায় শিক্ষক প্রতিনিধি রোকছনা পারভীনসহ কমিটির সদস্য, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ও সুধীমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, বিদ্যালয়কে প্রশ্ন বিদ্ধ ও অচল করার মানসিকতা নিয়ে স্বার্থান্ধ কিছু ব্যক্তি নানা অপকর্ম করে চলেছে। তারপরও আইনি প্রক্রিয়ায় ও এলাকার সচেতন মহলের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি পুনরায় বৈধতা নিয়ে সম্মানের সাথে এগিয়ে চলছে। ২৪/৮/২০ তাং মামলা (নং ১২/১৫) খারিজ হলে রায়ের কপি ৩১/৮/২০ তাং ইউএনওকে দেওয়া হয়। ২৪/৯/২০ জিপি মতামত চাওয়া হয় এবং ২৬/১১ তাং জিপি মতামত পাওয়া যায়। কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় জিপি’র মতামত উপক্ষো ২৮ তাং প্রধান শিক্ষক (আঃ হাকিম) কে অব্যাহতি দিয়ে রেজুলেশন করা হয়। ২০/১২/২০ তাং ডিইও বরাবর প্রধান শিক্ষকে চার্জ বুঝে দিতে আবেদন করা হয়। ২১/১২ তাং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের কাছে চার্জ বুঝে দিতে বললে তিনি আদালতের রায় মানেন না বলে বাক বিতন্ডা করেন। একপর্যায়ে স্কুলের কাগজপত্র নিয়ে স্কুল ত্যাগ করেন। প্রধান শিক্ষক যথারীতি প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ২৯/১২/২০ তাং কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়, ১২/১/২১ তাং শিক্ষা বোর্ড প্রধান শিক্ষকের নামে পাসওয়ার্ড প্রদান করেন। ১/২/২১ তাং এডহক কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বিল তৈরি করা হয়, কিন্তু কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে অমান্য করে ৮ জন শিক্ষক বিলে স্বাক্ষর করেননি। ফলে তাদের ছাড়াই বিল পাশ করা হয়। এরপর ষড়যন্ত্রকারীরা ১৪/১/২১ তাং ৭/২১ নং মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত ২০/১ তাং খারিজ করে দেন। সভাপতি নীলকন্ঠ সোম বলেন, যেসব শিক্ষক-কর্মচারী কমিটি ও প্রধান শিক্ষকে মানছে না তাদের শুভ বুদ্ধি হোক। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কাজ করুক। তাদের বোধোদয় হলে অবশ্যই তাদেরকে স্বাগত জানান হবে।