রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মায় জেলে জালে ৪০ কেজি ওজনের একটি মাঘাইড় আটক হয়েছে। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৬টার দিকে চকরাজাপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে এই বাঘাইড় মাছ ধরা হয়েছে। তবে ওই জেলে ৫ দিনে প্রায় দুই লক্ষ টাকার বাঘাইড় মাছ বিক্রি বিক্রি করেছেন বলে জানা গেছে। জেলের নাম ওয়ালিউর রহমান। বাড়ি পদ্মার মধ্যে কালিদাসখালী চরে।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর পদ্মায় দীর্ঘদিন থেকে জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন জেলে ওয়ালিউর রহমান। তিনি দুই দিন আগেও এই পদ্মায় ৫টি ৭৬ কেজি ওজনের বাঘাইড় পেয়েছিলেন। সেই ধারা বাহিকতায় রোববার সকালে একটি ৪০ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ ধরেছেন। এই মাছ প্রতিকেজি ৮৫০ হিসেবে বিক্রি করেছেন। মাছটি ৩৪ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন চকরাজাপুর চরের মাছ ব্যাপারি করম আলী। তিনি মাছটি ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করবেন। জেলে ওয়ালিউর রহমান ৫ দিনের ব্যবধানে ছোট বড় মিলে প্রায় দুই লক্ষ টাকার বাঘাইড় মাছ পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলে ওয়ালিউর রহমান জানান, এই মৌসুমে ইলিশের তেমন দেখা মিলেনি। তবে বাঘাইড় মাছ ভাল পেয়েছি। গত ৫ দিনে আমি প্রায় দুই লক্ষ টাকার মাছ বিক্রি করেছি। ইলিশের চেয়ে বাঘাইড়ের দামও ভাল পাচ্ছি। বিক্রি করতেও তেমন অসুবিধা হয় না। ব্যাপারিকে খবর দিলে ঘাট থেকে নিয়ে যায়।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালিদাসখালী চরের আবদুস সালাম জানান, এই মাছ সাধারণত স্থানীয়রা কিনে খেতে পারেনা, দাম অন্যান্য মাছের চেয়ে অনেক বেশি। তাই বেশিরভাগ এই মাছ ব্যাপারিরা ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম জানান, পদ্মান নদীতে সবাই কমবেশি মাছ পায়। তবে কোন কোন সময়ে বড় মাছ ধরা পড়লে দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করতে দেখা যায়। আমিও জেনেছি ওয়ালিউর রহমান নামের এক জেলে একটি ৪০ কেজি ওজনের মাছ পেয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, উপজেলার মধ্যে ২৬ কিলোমিটার পদ্মা নদী রয়েছে। জেলে আছে ১ হাজার ৩০৭। এরমধ্যে নিবন্ধন জেলে রয়েছে ৮৮৫ জন। তবে বড় মাছ পাওয়ার কারণে জাটকা ধরার প্রবনতা কমে গেছে। জেলেরা এখন পদ্মায় প্রতিনিয়ত বড় মাছ ধরছে।