সিনেমা ও নাটকের কথা আমরা প্রায় সময়েই বলে থাকি। বিকেলে চায়ের টেবিলে বসে অনেকেই বলি, ‘চল, শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক দেখে আসি।’ আবার এ রকমও বলা হয়, ‘এ সপ্তাহে একটি ভালো ছবি মুক্তি পেয়েছে।’ কিন্তু যাত্রার কথা তেমন করে বলেন না কেউ। নাগরিক জীবন থেকে ‘যাত্রা’ শব্দটি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে যেন। অথচ এটি বাংলাদেশের প্রাচীন সংস্কৃতির একটি ধারা, যেখানে রয়েছে আমাদের ঐতিহ্যের শেকড়, মা-মাটি-মানুষের চিরায়ত আবেদন।
৬০-৭০ বছর আগেও লেখাপড়া জানা ভদ্রলোকেরা বলতেন, আজ জয়দুর্গা অপেরা কিংবা ভোলানাথ অপেরার যাত্রাগান শুনতে যাব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জয়দুর্গা অপেরা, ভোলানাথ অপেরা, বরিশালের নট্ট কোম্পানি, চট্টগ্রামের বাবুল অপেরা, ময়মনসিংহের নবরঞ্জন অপেরা- এগুলো ছিল ব্রিটিশ যুগের এবং স্বাধীনতাপূর্ব বাংলাদেশের এক একটি বিখ্যাত যাত্রাদলের নাম। এখন যেমন প্রথম কাতারের কয়েকটি গ্রুপ থিয়েটার দলের কথা আমরা জানি- থিয়েটার, ঢাকা থিয়েটার, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, আরণ্যক প্রভৃতি।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের সাড়ে তিন দশক পর ইংরেজ শাসিত বঙ্গদেশে বাংলা নাট্যাভিনয়ের সূচনা করেন রুশ নাগরিক হেরাসিম লেবেডেফ। সেই সময় গ্রামে-গঞ্জে রাত ভোর করে দেয়া যাত্রাগানের আসর বসত। উৎসব অর্থে যাত্রার জন্ম আরও কয়েক শতাব্দী আগে। এ সম্পর্কে গবেষকদের বিভিন্ন অভিমত পাওয়া যায়। তবে ঐতিহাসিক সূত্রে প্রচলিত সত্য এটাই যে, বৈদিক যুগে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবদেবীর উৎসব হতো। ভক্তরা ঢাকাণ্ডঢোল নিয়ে মিছিল সহকারে নাচতে নাচতে গাইতে উৎসবে যোগ দিত। এক জায়গায় এক দেবতার বন্দনা ও লীলা কীর্তন শেষ করে আর এক জায়গায় আর এক দেবতার উৎসবে গান বাজনার মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করত। যেমন- সূর্যদেবকে উপলক্ষ করে সৌরোৎসব, শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণযাত্রা, জগন্নাথ দেবের উদ্দেশে রথযাত্রা, দোল পূর্ণিমায় দোলযাত্রা এবং মনসামঙ্গলে ভাসানযাত্রা। এই যে দেবদেবীদের উৎসবে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া- এই ‘যাওয়া’ থেকেই ‘যাত্রা’ কথাটির উৎপত্তি। ড. আশরাফ সিদ্দিকীর মতে, শব্দটি দ্রাবিড় থেকে এসেছে। ১৮৮২ সালে যাত্রা বিষয়ে গবেষণা করে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন আমাদের বিক্রমপুরের সন্তান নিশীকান্ত চট্টোপাধ্যায় (১৮৫২-১৯১০)। তিনি গবেষণায় আবিষ্কার করেছেন, খ্রিস্টাব্দ দ্বিতীয় শতক থেকেই কৃষ্ণযাত্রার অভিনয় হতো। গবেষক গৌরাঙ্গ প্রসাদ ঘোষের তথ্য উপাত্ত সূত্রে জানা যায়, খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে সম্রাট অশোক তার অষ্টম শিলালিপিতে উৎসব অর্থে যাত্রা ব্যবহার করেছেন। বহু শতাব্দীব্যাপী উৎসবের ঘেরাটোপে বন্দি থাকার পর অভিনয় অর্থে যাত্রার প্রথম নিদর্শন দেখি মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য দেবের আমলে ষোড়শ শতাব্দীতে প্রথম দশকে। নবদ্বীপে চন্দ্রশেখর আচার্যের বাড়িতে ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে শ্রীচৈতন্যদেব কৃষ্ণলীলায় অভিনয় করেছেন। ১৫০৯ সালে অভিনীত পালাটির নাম ‘রুক্ষ্মিণী-হরণ।’ তবে প্রকৃত অর্থে যাত্রাভিনয় এর পরিচিতি প্রকাশ পায় আরও প্রায় আড়াইশ বছর পর। যাত্রাসংক্রান্ত সমস্ত সন্দেহ সংশয় ও মতভেদ দূর করে ড. সেলিম আল দীন সত্য ইতিহাস উপস্থাপন করেছেন এভাবেÑ অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগ থেকে ‘যাত্রা’ কথাটির অর্থ সংকুচিত হতে থাকে এবং ঊনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই মূলত যাত্রা নাট্যাদি অর্থে পরিচিতি লাভ করে (জাতীয় যাত্রা উৎসব স্মরণিকা ১৯৯৪-৯৫)।
প্রথমে যাত্রাপালার কাহিনি ছিল পৌরাণিক। যেমন- রাবণ বধ, সীতা হরণ, নৌকা বিলাস, কৃষ্ণ-শকুনি কুরুক্ষেত্রের আগে ও ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা। এরপর যাত্রাপালায় আসে ঐতিহাসিক কাহিনী। ‘কালাপাহাড়’ নামে প্রথম ঐতিহাসিক পালা রচনা করেন চ’য়ে পাগলা নামে এক মুসলিম পালাকার। কারও কারও মতে, হরিপদ চট্টোপাধ্যায়। এ শ্রেণীর কয়েকটি উল্লে¬খযোগ্য পালার নাম- মুঘল-এ-আযম, ঈশা খাঁ, বীর বাঙালী, সোহরাব-রুস্তম, তাজমহল।
‘বিষাদণ্ডসিন্ধু’ অবলম্বনে ইমাম যাত্রার প্রচলন গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে। বরিশাল জেলার দুধল গ্রামের এক যাত্রাদলের মালিক মোজাফফর আলী শিকদার এসব পালা রচনার পথিকৃৎ। পালাগুলোর নাম- এজিদ বধ, জয়নাল উদ্ধার, কারবালার কান্না। শেষের পালাটির রচয়িতা ছিলেন প্রয়াত যাত্রানায়ক ননী চক্রবর্তী (১৯৫১-২০০৪)।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ভারতীয় গণনাট্য সংঘের চেতনা যাত্রাপালাকেও প্রভাবিত করেছিল। মেহনতি মানুষের জীবনকথা, তাদের দুঃখ-দৈন্যের যন্ত্রণা নিয়ে রচিত হয় একের পর এক গণজাগরণমূলক পালা। যেমন- আকালের দেশ, যুগের দাবি, সত্যের জয়। প্রথম সামাজিক পালা ‘দোষী কে’ রচিত হয় ১৯৬১ সালে। মার্কসবাদী দর্শনের আলোকে কয়েকটি বিপ্লবী পালার মঞ্চায়ন আমরা দেখি ৬০-৭০-এর দশকে। এগুলো হচ্ছে- একটি পয়সা, কান্না ঘাম রক্ত ও পাঁচ পয়সার পৃথিবী।
ভারতের বর্ধমান জেলায় ‘লেটো’ নামে এক শ্রেণীর যাত্রাদল ছিল। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১২ বছর বয়সে লেটো দলের জন্যে পালা লিখতেন। কয়েকটি পালার নাম- চাষার সঙ, কৃষ্ণ-শকুনি, মেঘনাদ বধ, দাতা কর্ণ ও রাজপুত্র।
রবীন্দ্রনাথের জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে প্রাচীন যাত্রার পরিমার্জিত রূপ ‘নতুন যাত্রার’ পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। শৈশবে তাঁর দেখা একটি পালার নাম ‘নল দময়ন্তী।’ রবীন্দ্রনাথ আশৈশব যাত্রাকে বিশেষভাবে দেখেছেন। যাত্রার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বাষ্মিকী//// প্রতিভা, রূদ্রচ-, প্রকৃতির প্রতিশোধ- এসব গীতিনাট্যকে পালাগান বলে তিনি নিজেই উল্লেখ করেছেন।
সামাজিক পালার পর প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিখ্যাত ব্যক্তিদের জীবনী অবলম্বনে যাত্রাপালা রচিত হয়। বিদ্রোহী মাইকেল মধুসূদন, বিদ্রোহী নজরুল, করুণাসিন্ধু বিদ্যাসাগর, লেনিন, হিটলার এবং ক্লিওপেট্রা- এই শ্রেণীর পালা। সমাজ উন্নয়নমূলক একটি উল্লেখযোগ্য পালা- মা-মাটি-মানুষ। অতি সাম্প্রতিককালে পথযাত্রাপালা ও পরিবেশবিষয়ক (বৃক্ষরোপণ, পলিথিন, পানিতে আর্সেনিক) সচেতনতামূলক পালাও রচিত হচ্ছে।
যাত্রাপালার গল্প শুরু হয়েছিল দেবতার অঙ্গন থেকে। পৌরাণিক, ঐতিহাসিক, সামাজিক- এমনি কয়েক ধাপ পেরিয়ে কালের বিবর্তনে যাত্রা এখন গণমানুষের দোরগোড়ায়। যাত্রার ঐকতান বেজে ওঠে অন্যায়, অসত্য ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। এই শিল্পের সময়োপযোগী পরিবর্তন, সংস্কার এবং উন্নতির জন্য যে দুজন মানুষকে আমরা স্মরণ করব তারা হলেন- স্বদেশী যাত্রার প্রবর্তক চারণ কবি মুকুন্দ দাশ (১৮৭৮-১৯৩৪) এবং যাত্রাপালা সম্রাট ব্রজেন্দ্র কুমার দে এমএবিটি (১৯০৭-১৯৭৬)। মুকুন্দ দাশের পৈতৃক নাম যজ্ঞেশ্বর দে। জন্ম বিক্রমপুরে। আজীবন স্থায়ী বসবাস ছিল বরিশাল শহরে। ইংরেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করার জন্য পালা লিখতেন বলে সেগুলোর নাম হয়েছিল ‘স্বদেশী যাত্রা।’ যেমন- মাতৃপূজা, কর্মক্ষেত্র, সমাজ, পল্ল¬ী সেবা প্রভৃতি। মুকুন্দ দাশকে ইংরেজবিরোধী পালা রচনার দায়ে জেল খাটতে হয়েছিল।
ব্রজেন্দ্র কুমার দের জন্ম বর্তমান শরীয়তপুর জেলার গঙ্গানগরে। উচ্চশিক্ষিত এবং স্কুলশিক্ষক হয়েও সুদীর্ঘ ৫০টি বছর নিবিষ্ট চিত্তে তিনি শুধু যাত্রাপালাই লিখে গেছেন। তার রচিত পালার সংখ্যা ১৮৯। যাত্রার বই যারা লেখেন, তাদের পালাকার বলা হয়। একমাত্র ব্রজেন্দ্র দে ‘পালা সম্রাট’ উপাধি পেয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে লেখা তার কয়েকটি পালা- প্রবীরার্জুন (১৯৩২), লীলাবসান (১৯৩৩), চাঁদের মেয়ে (১৯৩৬), রাজনন্দিনী (১৯৪২), আকালের দেশ (১৯৪৪), বাঙালী (১৯৪৬), স্বামীর ঘর (১৯৪৯), বিদ্রোহী নজরুল (১৯৭৪)।
এবার বাংলাদেশের কয়েকজন বিখ্যাত যাত্রাশিল্পীর কথা। চট্টগ্রামের অমলেন্দু বিশ্বাস। স্বনামধন্য নট। স্বাধীনতার পর মাইকেল মধুসূদন, লেনিন ও হিটলার পালায় অভিনয় করে যাত্রাশিল্পে বিপ্ল¬ব ঘটান। ১৯৮৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন। একই জেলার আর একজন জাঁদরেল যাত্রাভিনেতা তুষার দাশ গুপ্ত। নটি বিনোদিনী, ক্লিওপেট্রা- এসব ক্লাসিক পালায় অভিনয় ও নির্দেশনার মাধ্যমে যাত্রায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেন। অমলেন্দু বিশ্বাস ও তুষার দাশ গুপ্তের পূর্ববর্তী ও সমসাময়িক শিল্পীরা হলেনÑ নোয়াখালীর নগেন নন্দী, মন্মথ দত্ত, পাবনার গজেন দত্ত, নেত্রকোনার নয়ন মিয়া, নওগাঁর এম এ হামিদ, জাহানারা, মাদারীপুরের মঞ্জুশ্রী মুখার্জী, ফরিদপুরের চিত্ত পাল, যশোরের অনিল ঘোষ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের বিবেক গায়ক গৌরাঙ্গ আদিত্য, সিরাজগঞ্জের পরিমল সাহা, বিনয় চক্রবর্তী ও জ্যোৎস্না বিশ্বাস। এদের মধ্যে জাহানারা, বিনয় চক্রবর্তী, জ্যোৎস্না, গৌরাঙ্গ আদিত্য ছাড়া সবাই পরলোকে।
বাংলাদেশে ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি জাতীয় যাত্রা উৎসব হয়েছে। অমলেন্দু বিশ্বাস পরপর দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। পরপর দুবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হন শবরী দাশ গুপ্ত। এর পরের উৎসবগুলোর শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হন যথাক্রমে স্বপন কুমার, সুলতান সেলিম। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- রিক্তা সুলতানা ও চন্দ্রা ব্যানার্জি। বিভিন্ন পর্যায়ে পুরস্কৃত হন অশোক ঘোষ, মেরি চিত্রা, প্রতিমা সরকার, এম. সিরাজ, মহীতোষ, অমল দত্ত, সরল খাঁ, মুক্তি রানী প্রমুখ। বর্তমান লেখক ১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ জাতীয় যাত্রা উৎসবে বিশেষ যাত্রা ব্যক্তিত্বের সম্মান অর্জন করেন। যাত্রা উৎসবে পুরস্কৃত হননি অথচ শক্তিমান অভিনেতা, এমন কয়েকজন হচ্ছেনÑ প্রয়াত ননী চক্রবর্তী, সাধন মুখার্জি, মুকুন্দ ঘোষ, ভিক্টর দানিয়েল ও হাবিব সারোয়ার।
ঐতিহ্যবাহী যাত্রার সুদিন আজ বিগত। এটি শুধু নিছক আনন্দ বিনোদনের বিষয় নয়। একদিকে যেমন লোক-শিক্ষার বাহন, অন্যদিকে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর একটি অংশের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম এই যাত্রা। এটি একটি পেশাদারি শিল্প। কিন্তু নেই পেশাগত নিশ্চয়তা। যাত্রার ওপর সরকারি ও প্রশাসনিক নানা রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ফলে কখনও যাত্রানুষ্ঠান চলে, কখনও বন্ধ হয়ে যায়। আবার প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী যাত্রাকে নিয়ে যাচ্ছে অপসংস্কৃতির নোংরা পঙ্কিল পথে। সার্বিক অর্থে অবক্ষয়ের কবলে এখন ঐতিহ্যবাহী যাত্রা। তবে যাত্রাক্ষেত্রে স্বাধীনতার ৪২ বছর পর একটি সুখকর সংবাদ হচ্ছে- ২০১২ সালের ৩০ আগস্ট ‘যাত্রাশিল্প উন্নয়ন নীতিমালা’ প্রণয়ন ও তা গেজেটভুক্ত হয়। ফলে এ শিল্পে নতুন প্রাণসঞ্চার হবে বলে আশা করা যায়।
জাতীয় স্বার্থেই যাত্রাকে বাঁচানো জরুরি। সারাদেশে অবাধ ও অশ্লীলতামুক্ত যাত্রানুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এর জন্য বিকৃতরুচির প্রদর্শকদের কঠোর শাস্তির বিধান করতে হবে। অভাব অনটন রোগ শোক দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে হবে হতভাগ্য যাত্রাশিল্পীদের। কারণ, তারাইতো যুগ যুগ ধরে জীবন বাজি রেখে বাঁচিয়ে রেখেছে বাঙালির এই সংস্কৃতিকে। যাত্রার যন্ত্রণা আর কতদিন? আমরা এখন একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে। অনেক আশা অনেক স্বপ্ন এখন মানুষের মধ্যে। স্বপ্ন দেখেন যাত্রাশিল্পীরাও। সমস্যা সংকটের ঘোর অন্ধকার ভেদ করে কবে আসবে এক ফুটন্ত সকাল!