প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তালাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসায় উন্নত করেছেন। অধ:পতিত পাঁচ বার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হওয়া রাষ্ট্রকে তিনি উন্নয়নের মডেল করেছেন। এজন্য তাকে ম্যাজিসিয়ান অফ দি ডেভলপমেন্ট বলা হয়। সারা বিশে^র রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্র প্রধানরা শেখ হাসিনার জন্য প্রশংসনিয় স্তুতি বাক্য ছড়িয়ে দিলেও তার প্রতিপক্ষ একটি শক্তি তা সহ্য করতে পারছেন না। নানা ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সচেষ্ট। আজ রাষ্ট্রীয় নিরপত্তার বেস্টনিতে শেখ হাসিনা নিরাপদ হলেও বিগত দিনের দিকে তাকালে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের নানা পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়। সুস্থ্য বিবেক সম্পন্ন মানুষ এসব জেনে আঁতকে উঠেন। এ পর্যন্ত তার ওপর অন্তত: ১৯ টি হত্যা চেষ্টার কথা জানা যায়। এর মধ্যে ১৪টি ঘটনার মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। যার মাত্র পাঁচটির রায় ঘোষনা করা হয়েছে। এসব হামলায় এ পর্যন্ত ৬০ জন দলীয় নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট তো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে তা আদালতে প্রমাণিত।
ঘৃনা, জঘন্য, মানবতা বর্জিত পশুর নৃশংতা পরাজিত করা এ সব মানুষ নামের পুশুদের আক্রমন থেকে শেখ হাসিনা বেঁচে বারবার প্রমান করেছেন, রাখে আল্লাহ মারে কে? বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকান্ড জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে ১৯৭৫ সালে হত্যা করার সময় শেখ হাসিনা তার স্বামী ও বোন রেহানাকে নিয়ে জার্মানিতে ছিলেন। ফলে কাল রাতে ঘাতকের বুলেট থেকে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দু’মেয়ে। শোকের সাগরে নিমজ্জিত শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে ফিরতে পারেননি তখন। দু:খ জনক হলেও সত্য যে দেশের জন্য একটি পরিবার জীবন দিল সেই পরিবারের সদস্যদের দেশে আসতে দেয়া হলো না। জার্মানি থেকে ভারতে আশ্রয় নেন বঙ্গবন্ধুর দু’মেয়ে। অবশেষে ছ’বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তারা। শেখ হাসিনা দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেকে নিবেদিত করেন। দেশের মাটিতে পা রেখে শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি ফিরে এসেছি বাংলাদেশের সকল মানুষের আকাংঙ্খাকে পরিপূর্ণ করার জন্য। আমার ব্যক্তিগত কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই।’ আর সময়ের ব্যবধানে তা তিনি প্রমান করেছেন। এক সময় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দূর্যোগে, ঘূর্নিযড়, বন্যা ও গরিব রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিলো। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে ভাবে উন্নয়নের শিখরে পৌছেছে তা দেখে সবাই বিষ্মিত। কি ভাবে একটি রাষ্ট্র উন্নয় করেছে, দারিদ্র হ্রাস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মানুষের জীবন-যাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করতে পারে, তার উদাহরণ বিশ্বজুড়ে তৈরী করেছে বাংলাদেশ। আর তার প্রতিপক্ষরা বলছেন শেখ হাসিনা উন্নয়নের নামে দেশে দূর্নীতির মহাৎসব করছেন। তার দলীয় নেতাকর্মীরা দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ছে। অথচ বিশ্ব ব্যাংকের পদ্মা সেতু সংক্রান্ত দূর্নীতির অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মানের সাহস দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। এতে বিশ্ব মোড়লদের অনেকে শেখ হাসিনার উপর ক্ষুব্ধ হলেও বিশ্ববাসীরা শেখ হাসিনার প্রশংসাই করছেন। তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেমে নাই। কাল নাগিনীরা ফনা তুলতে চেষ্টা করছে। দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্রের কথা শোনা যাচ্ছে। পরিবর্তনশীল আধুনিক বিশে^র সাথে তাল মেলাতে ডিজিটাল নিরাপত্তার কথা ভেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি গঠন করেছে সরকার।
কিন্তু দেশি-বিদেশী ষড়যন্ত্র যে ভাবে ডাল-পালা বিস্তার করছে, তাতে আতংকিত হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। দেশে ধর্সাব্ধ সাম্প্রদায়িক শক্তির চোখের বালি শেখ হাসিনা। আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের এগিয়ে যাবার রূপকার শেখ হাসিনা নানা কারনে বিশে^র কতিপয় মানুষের কাছে প্রতিযোগি হয়ে উঠেছেন। তাই তারাও নানা মাধ্যমে শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চান। এ জন্য শেখ হাসিনা অনেকেরই টার্গেট হয়ে উঠেছেন। আমরা কোন অনাকাংঙ্কিত ঘটনা দেখতে চাইনা। তবে হঠাৎ ফেসবুকে নাজিজদা ফাতেমা শিখার একটি পোস্ট দেখে দারুন ভাবে ভাবিত হলাম। তিনি লিখেছেন, ‘১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্দুকে পরিবার সহ হত্যার পরে, বাংলাদেশে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ হয়েছিলো তা অনেকেরই অজানা। সেই অকথিত ইতিহাসের সত্য উন্মোচন এবং প্রকাশের উদ্দেশ্যে দলগতভাবে একটি গবেষণা কর্ম পরিচালনা করতে গিয়ে আটকে গিয়েছিলাম। কারণ অর্থ এবং শক্ত আনুকুল্য না থাকলে কাজটা করা অসম্ভব। আমাদের এক সুহৃদ বিষয়টি জানতে পেরে আমাদেরকে এমন একজনের কাছে পাঠালেন, যিনি ইচ্ছা করলেই কাজটা করার সুযোগ আমাদেরকে করে দিতে পারতেন। খুব ক্ষমতারধর একজন মানুষ তিনি। উনার কথামত মাত্র দুই সপ্তাহে দুইটি প্রজেক্ট প্রপোজাল তৈরী করলাম। এবার উনি শুরু করলেন রহস্যময় আচরণ। ফোন দিলে ধরেন না, মেসেজের উত্তর দেন না। দেখা করার সময় দিয়ে আমাদেরকে উনার অফিসে বসিয়ে রেখে, উনি অফিসেই আসেন না। খুব অপমানজনক আচরণ ছিলো সেগুলো। আমরাও নাছোড়বান্দার মত উনার পেছনে দৌড়ালাম কয়েকদিন। এরিমধ্যে আমাদের দুইজন রিসোর্স পারসন মারাও গেলেন। আমরা ঠিক করতে পারছিলাম না সমস্যাটা কোথায়। উনি যে পদে বসে আছেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশকে ভালো না বাসলে, সেখানে বসা যায় না। আর সেই কোন ব্যাক্তির পক্ষে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা কাজ করতে চায় তাদের সাথে এই আচরণটা করাও তো শোভনীয় না। কাজটা দিতে না পারলে সেটা জানানোতেও তো একটা সৌজন্য থাকা উচিত। উনি আমাদের সময় নষ্ট করছিলেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, উনাকে গিয়ে সরাসরি জানিয়ে আসবো যে, আমরাই উনার সাথে কাজগুলো করতে চাই না। এখনো এর-ওর কাছে ধর্না দিয়েই যাচ্ছি, যদি কোন ব্যবস্থা হয়, এই আশায়। মাঝে মাঝে খুব হতাশ হই আবার জেগে উঠি নতুন শক্তিতে। এর মাঝেই শুললাম, ঐ ক্ষমতাধর ব্যাক্তিটি নাকি রজাকারের পৌত্র। তার বাবা একাত্তরের একটি গনকবরে পেট্রোল পাম্পের নাম ফলক লাগিয়েছিলো। পরিচয় গোপন করে একটি মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটও বাগিয়েছিল। সেই সুবাদে চাকরী, আওয়ামীলীগের কর্মী বনে যাওয়া সবি করেছে। রাজাকারের বংশধরের পরিচয় গোপনেরও চেষ্টা করেছিলো। এইবার হিসাবটা ঠিকঠাক মিলে যাচ্ছে।
ঘটনা সত্যি হলে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে বিনয়ের সাথে জানতে চাই, এরা আপনার এতা কাছে আসার সুযোগ কিভাবে পায়? আমার বাবা ৫২ তে জেল খেটেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, ৭৫ এ জেলে গেছেন, ৮৫ তে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবস পালন করতে গিয়েও জেলে গেছেন। আমার মা, নানা, নানী উনারাও মুক্তিযোদ্ধা। শত প্রলোভন পায়ে ঠেলা পরিবারের সন্তান আমি। নিজেও সক্রিয় রাজণীতি করতে গিয়ে নিজের জীবনটাই গোছাতে পারিনি। বিষে করেছি এমন একজনকে যে মানুষটি তার প্রাক কৈশোরেই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে জড়িয়ে গিয়েছিলো প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে। এত কিছুর পরও আমরা তো কোন প্রতিদান চাইনি। বিত্ত, বৈভব, এমনকি আওয়ামীলীগের কোন পদণ্ডপদবীর লোভও করিনি। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কোন সুযোগও আজো আমরা নেই নি। তাহলে আমাদেরকে কেন রাজাকারের নাতির কাছে অসম্মানিত হতে হবে? বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে ওদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর কেন সব কিছু নির্ভর করবে? আমরা কেন আমাদের চাওয়া গুলো আপনাকে জানাতেই পারবো না? ওরা কেন আমাদের পথ আগলে দাঁড়াবে? মুক্তিযোদ্ধার উত্তরসুরীরা কেন রাজাকারের উত্তরসুরীদের করুণার পাত্র হবে?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এই পদে হয়ত সারাজীবন থাকবেন না। কতজনি তো আসবে যাবে এই পদে। কিন্তু ইতিহাস আপনাকে ধারণ করবে এক অনন্য যোগ্যতার জন্য। এক মহৎ পরিচয়ের জন্য। আপনি আমাদের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কি অপার সৌভাগ্য আপনার। জানি শোকও বিপুল আপনার। কিন্তু আমরা তো আপনার সেই বিপুল শোককে ধারণ করেই, আপনার পাশে থেকে লড়ছি। আর এই লড়াই সংগ্রামের পথে আপিনি হয়ে গেছেন আমাদের ‘আপা’। আপনাকে ভালবাসার শক্তিতেই বলিয়ান হতে চাই আমরা। আপা, আপনাকে হাতজোড় করে বলছি, আপনার কাছে-পিঠে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকারের উত্তরসূরীদেরকে চিহ্নত করুন। এদেরকে সমুলে উৎপাটন করতে না পারলে, ক্রমশ এদের হাতেই দেশ চলে যাবে আবারও। এদের হাতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ কিংবা তার উত্তরসূরীরা কেউ নিরাপদ নয়। আমরা আপনাকে নিরাপদ দেখতে চাই।
বাংলাদেশকে নিয়ে দেখা আপনার স্বপ্নের ফুলগুলোকে নিরাপদ দেখতে চাই। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নিরাপদ দেখতে চাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ লেখাটি তিনি গত বছর লিখেছেন। এবার আবার শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন যতদিন তিনি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে না পারবেন ততদিন প্রতিবছর তিনি লেখাটি শেয়ার করবেন। তাই বন্ধবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা উৎকান্ঠিত। কারন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে যারা স্বপরিবারে হত্যা করেছিল তারা বঙ্গবন্ধুর বাসায় যেতেন আহার করতেন। আর ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারী তার দেহরক্ষী। তাই ভয় হয় শর্ষের মাঝে যেন ভুথ লুকিয়ে না থাকে?
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দেশে আসার পর থেকেই স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি সহ ষড়যন্ত্রকারী দেশী-বিদেশী শক্তি তাকে দমাতে নানা কূটকৌশলসহ তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একরে পর এক হামলা চালাতে থাকে। ১৯৮৮ সালে চট্রগ্রামে লালদীঘি দিয়ে শুরু। এর পর ১৯৮৯ সালে ধানমন্ডির বাসায় হামলা, ১৯৯১ সালে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার পথে গুলি, ১৯৯৪ সালে ট্রেনমার্চে পাবনায় হামলা, ১৯৯৫ সালে রাসেল স্কয়ারে হামলা, ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউয়ে হামলা, পর্যায় ক্রমে চলতে থাকে। এছাড়াও ২০০০ সালে কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা, ২০০১ সালে খুলনার রূপসায় বোমা এবং সিলেটে হামলার আগে বোমা বিষ্ফোরন, ২০০২ সালে নওগাঁর বিএম কলেজে হামলা, ২০০২ সালের সাতক্ষীরার কলারোয়ার পথ আটকে হামলা, ২০০৪ সালে বরিশালে গৌর নদীতে হামলা এবং অবশেষে ২০০৪ সালের রক্তাক্ত আগষ্ট।
মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে এসব হামলা থেকে শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন। আদালত ঘোষিত বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনি ও সাম্প্রদায়িক শক্তিরা দেশ-বিদেশে তাদের ষড়যন্ত্রের ডাল-পালা বুনতে থাকে। ২০০৭ সালে ১/১১ পরবর্তি সময় কারাবন্দি থাকা অবস্থায় খাবারে বিষ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই খাবার খেয়ে তার চোখ-মুখ ফুলে গিয়েছিলো এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সময় অভিযোগ করেন। ২০০৯ সালে ২৭ জুন রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আওয়ামীলীগের তৎকালীন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কারাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নারী নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে বিষ প্রয়াগে হত্যার চেষ্টা বিষয়টি তিনি অবগত হন এবং শেখ হাসিনাকে জানান। এরপর শেখ হাসিনা কারাগারে চিড়া-মুড়ি ও কলা খেয়ে থাকতেন। ১১ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন তিনি প্যারলে মুক্তি পান। অন্যদিকে ২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী দলের সাথে পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়ার্ড গঠন করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। এজন্য অগ্রীম টাকাও দেয়া হয়। শ্রীলংকার সেই সন্ত্রাসীবাদী দলের আততায়িদের টিম গাড়ি করে কলকাতা বিমান বন্দরে যাবার পথে সড়ক দূর্ঘটনার নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা। এদিকে ২০১৪ সালের শেষ দিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানব বোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৫০ জন নারী ও ১৫০ জন যুবককে বিশেষ প্রশিক্ষন দেয়া হয়। এতে নেতৃত্ব দিয়েছে ১৩ জঙ্গি দম্পতি। তবে প্রশিক্ষনরত অবস্থায়ই পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমানে বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটলে সে ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়। চরম পন্থি জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) ও সক্রিয় ছিলো শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য। ২০১৫ সালে ১৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় যোগ দিতে যাবার পথে কারওয়ান বাজার এলাকায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার চেষ্টা করে। তারা কয়েকটি বোমা বিষ্ফোরন ঘটায়। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী শরিফুল হক ডালিম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ জন অবসর প্রাপ্ত ও কর্মরত সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সাময়িক অভ্যূস্থানের চক্রান্ত করে, যা উইকিলিসের সৌদি আরবের এক গোপন বার্তায় প্রকাশ পায়। হংকংয়ে বসবাসরত এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ইসকার আহমেদ এ পরিকল্পনায় অর্থায়ন করে বলে গোপন বার্তায় উল্লেখ করা হয়। অবশ্য এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী করোনার কারনে তাকে গণভবনের বাইরে যাচ্ছেন না বা যেতে দিচ্ছেন না। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় নানা মিটিং সিটিং করছেন। উদ্বোধন করছেন নানা প্রকল্পের।
গোটা বিশ্ব ডিজিটালাইজেশনের কারনে এখন হাতের মুঠোয়। তাই সোসাল মিডিয়ায় নানা কল্পকাহিনী ফেদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা খর্ব করতে চায় একটি চক্র। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারনে এমন কিছু ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি আওয়াময়ী লীগ সাধারন সস্পাদাক ও সেতু পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আহবান জানিয়েছেন যারা মিথ্যে কল্প-কাহিনী ফেদে শেখ হাসিনার ভাবমুর্তি নষ্ট করতে চায় তাদের লেখার জবাব সোসাল মিডিয়াল দিতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে ঘাকরা বাঁচাতে দেয় নি। জনগনের ভালোবাসা নিয়ে শেখ হাসিনা বেঁচে থাকুন। দেশের উন্নয়নের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে তার খুবই প্রয়োজন। অতীতের ঘটনা প্রবাহ বিচার-বিশ্লেষণ করে আরো সচেতনা প্রয়োজন। তাই প্রতিপক্ষের মুখে ছাই দিতে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।