বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলুকে দুর্নীতিবাজ ও গরীবের অর্থ আত্মসাৎকারী আখ্যা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সুপারিশ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। চিংড়াখালী বাজারে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার চিংড়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
অভিযোগে বলেন, ২০১৬ সালে চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে আলী আক্কাস বুলু বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন। এমনকি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আগামী নির্বাচনে এই দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুপারিশ করেছি। চেয়ারম্যানের দূর্নীতি অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
চিংড়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার মজুমদার বলেন, দলী মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আলী আক্কাস বুলু নানা অনিয়ম করে আসছে। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা মৌখিকভাবে অনেকবার বলেছি। কিন্তু তিনি ভাল হননি। এই কারণে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কল্যাণ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য আমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, যুবলীগসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সভা করে তার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা। আমার পরিষদের যেসব প্রজেক্ট এবং উন্নয়নমূলক কর্মকা- এসেছে তার বেশিরভাগ পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা বাস্তবায়ন করেছেন। আমি যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি তা সঠিকভাবে করেছি।