পৃথিবীতে রহস্যময়, দৃষ্টিনন্দন ও চমকপ্রদ এমন হাজারো জায়গা আছে যেগুলো চাইলেই আপনি ভ্রমণ করতে পারেন। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, পৃথিবীতে এমন হাতে গোনা কয়েকটি স্থান রয়েছে যেখানে চাইলেও আপনি যেতে পারবেন না। জানতে পারবেন না সেখানে কী হচ্ছে বা কেনই বা এত গোপনীয়তা। আসুন জেনে নিই এমন রহস্যময় পাচঁটি স্থানের ব্যাপারে।
১) আইজ গ্রান্ড কুঠি
আইজ গ্রান্ড কুঠি জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান । এই কুঠির মূল ভিত্তিতে রয়েছে দুটি প্রধান কুঠি আর তার চারপাশে রয়েছে আরো ছোট-বড় ১২৫ কুঠি। খুব কঠোরভাবে এই কুঠিতে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়। জাপানের রাজকীয় পরিবার আর পুরোহিত ছাড়া এতটা কাল এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। খ্রিস্টপূর্ব ৪ অব্দে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়।
২) পাইন গ্যাপ
পাইন গ্যাপ এরিয়াটি অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত এবং যেকোনো ব্যক্তির জন্য এখানে প্রবেশাধিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রায় ১৮ কিমি এলাকা জুড়ে রয়েছে এর বিস্তার। এটাই অস্ট্রেলিয়াণ স্যাটেলাইট গুলোর ট্রাকিং স্টেশন। এখানে দৈনিক ৮০০ এরও বেশি শ্রমিক কাজ করে থাকে।
৩) জিয়াংসু ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডুকেশনাল মিউজিয়াম
এটি চীনে অবস্থিত। এই মিউজিয়ামটি আট তলা বিশিষ্ট। রয়েছে অনেক পুরাতন নথি। তবে সব সময়ই এটা তালাবদ্ধ থাকে। শুধু চীনের অধিবাসীরা এইখানে প্রবেশ করতে পারে। অন্য কোনো দেশের পর্যটকদের জন্য এখানের প্রবেশ অধিকার নেই।
৪) ভ্যাটিকান এর সিক্রেট আর্কাইভ
যুগযুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক,সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান। এই জায়গাটিকে "storehouse of secret" ও বলা হয়। খুব সংখ্যক স্কলারই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে। এখানে প্রায় ৮৪০০০ বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিমি দীর্ঘ।
৫) দ্য হান্টেড আইল অফ পোভেগলিয়া
১৪ শ শতাব্দীতে ভয়াবহ প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয় এখানে বসবাসকারী স্থানীয়রা। আক্রান্তদের জীবিত অবস্থায় কাদার মধ্যে পুতে রাখা হত অথবা জীবিত পুড়িয়ে মেরে ফেলা হত। এরপর ১৭শ শতাব্দীতে আবারো সেখানে ব্ল্যাক ডেথ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এরপর থেকেই এই দ্বীপে যেকোনো পর্যটক এর জন্য প্রবেশ অধিকার নেই। এটি পোভেগলিয়ার ভিনি ও লিডু দ্বীপে অবস্থিত ।