আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের সরাপপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক, অভিভাক ও কমিটির সদস্যদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকালে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় মোবাইলে বক্তব্য রাখেন, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা আ.লীগ কোষাধ্যক্ষ অসুস্থ রাজ্যেশ্বর দাশ। সভায় সহকারী প্রধান শিক্ষক অনুম কুমার সরদার, সহকারী শিক্ষক মনির উদ্দিন, অজিৎ কুমার সরদার, আবু তাহের হোসেন, সৌমিত্র কুমার দাশ, ফারুক হোসেন, তাহমিনা খাতুন, ওছমান গনি, রাম প্রসাদ সরকার প্রমুখ আলোচনা রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন। বক্তাগণ চালপড়া খাওয়ানো নিয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, সহকারী শিক্ষক আবু তাহের শিক্ষকদের সাথে বসে ঋণের টাকা শোধ দিয়ে অবশিষ্ট টাকা ভুল করে ফেলে পিএফ এর টাকা ব্যাংকে জমা দিতে গিয়ে দেখেন তার নিজের টাকা ফেলে এসেছেন। এনিয়ে মোবাইলে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন এবং স্কুলে টাকা খুজে পাননি। পরবর্তীতে শিক্ষক-কর্মচারীরা বিষয়টি নিয়ে বসে কথা বলেন। একপর্যায়ে কোন একজন চালপড়া খাওয়ানোর প্রস্তাব করলে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমি এটি বিশ্বাস করিনা, তবু আপনারা করলে করতে পারেন। তখন সবাই স্বেচ্ছায় আগ্রহসহকারে চাল খান। এনিয়ে কেউ কাউকে দোষারোপ করেনি বা চাপ প্রয়োগও করেনি। কাউকে চুরির সাথে জড়িত চিহ্নিত করাও হয়নি। দিদি মনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এটিও আমাদের জানাছিলনা। এ বিষয়টি নিয়ে মাননীয় জেলা প্রশাসক আমাদের ডেকে ছিলেন। জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলেছি। তারা বিষয়টি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিস্পত্তি করতে নির্দেশনা দেন। পরে আমরা দিদি মনির বাসায় গিয়ে শান্তনা প্রদান, অনাকাঙ্খিত ঘটনার অবসানে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষক-কর্মচারীরা একটি পরিবারভুক্ত। আমরা একসাথে থেকে স্কুলের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। ভুল বুঝাবুঝি হলে নিজেরাই সমাধান করে নিয়ে থাকি। মিটিং শেষে সকল শিক্ষক দিনি মনির (সহকারী শিক্ষক) বাসায় যাব। স্কুলের সভাপতি জেলা আ.লীগ কোষাধ্যক্ষ রাজ্যেশ্বর দাশ বলেন, যেটা হয়ে গেছে তা আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। আমি জানলে চালপড়ার কাজ হতে দিতাম না। শিক্ষকরা ভিকটিমের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তারা (ভিকটিম) এখন থেমে আছে। ভিকটিমের স্বামীর সাথে আমি কথা বলেছি, আমি বলেছি শিক্ষকরা ভুল বুঝতে পেরে তাদের বাড়িতে গেছে, সবাইকে একসাথে স্কুলে কাজ করতে হবে, বিষয়টি নিরসন করে নেওয়া যায়।