আশাশুনি উপজেলার দরগাহাপুর ইউনিয়নে দিনের বেলায় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মৎস্য ঘেরের একদিকে বাঁধ কেটে তছনছ এবং অন্যপাশে নতুন বাঁধ নির্মান কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে ইউনিয়নের হোসেনপুর মৌজায়।
হোসেনপুর মৌজায় এসএ ০৪ ও বর্তমান জরিপে ০১ নং খতিয়ানে সাবেক ৭৩ দাগে ৭.৯৪ একর জমি বামনডাঙ্গা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আশুতোষ মন্ডল ২০১১ সালে ৩ বছরের জন্য ইজারা গ্রহণ করেন। ইজারার বিরুদ্ধে খরিয়াটি গ্রামের আঃ বারিক এডিসি (রাঃ) আদালতে ৬/১২ নং মোকদ্দমা করেন। মামলায় সমিতি তথা সরকার পক্ষে রায় হয়। ২০১৫ সালে বিভাগীয় কমিশনারের আদালতে আপীল ৭১/১৫ করেন। আদালত ২৫/৫/১৫ তারিখের আদেশে বলা হয়েছে “আপীলটি শুনানীপূর্বক নিস্পত্তির জন্য গৃহীত হইল। ---- তর্কিত আদেশের কার্যকরিতা স্থগিত করা হউক।” বাদী আঃ বারি খান বলেন, তারা ৩০ বছর জমিতে ভোগদখলে আছেন। মৃত আছের সরদারের পুত্র আবু তাহের জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করে আসছিলেন। তখন মনিমোহন মন্ডল অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত আইনশৃঙ্খলা রক্ষার আদেশ করলে আশাশুনি থানা পুলিশ শান্তি রক্ষার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি নোটিশ করেন। কিন্তু আবু তাহের ১০/১৫ জন শ্রমিক নিয়ে ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি মৎস্য ঘেরে ঢুকে পুরাতন বাঁধ কেটে দেয় এবং অপর পাশে নতুন করে মাটির বাঁধ দিতে থাকে। বিষয়টি থানাকে অবহিত করলে এবং ৯৯৯ নং অভিযোগ করলে আবারও তাদেরকে ঘের থেকে উঠে যেতে নির্দেশ করা হলেও তারা মানেনি। বরং পুরাতন বাঁধ ভেঙ্গে ঘেরে থাকা ৮০ হাজার বাগদা রেণু এবং লক্ষাধিক টাকার পুরনো বাগদা চিংড়ী অন্য ঘেরের সাথে একাকার করে দিয়েছে। প্রকাশ থাকে যে, বাদী দবির উদ্দিন গাজী ২০১১ সালে আশাশুনি সহকারী জজ আদালতে ১০৩/০৩ মামলায় ডিগ্রী পান। এর বিরুদ্ধে আঃ বারী ডিগ্রী রদ মোকদ্দমা করলে বিজ্ঞ আদালত ডিগ্রী রহিতের মোকদ্দমার যৌক্তিকতা আছে, না মঞ্জুর করা হলে বাদীপক্ষের মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থের সম্ভাবনা আছে উল্লেখ করে দরখাস্ত মঞ্জুর করেন।