দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন ভোলাহাট উপজেলায় মোঃ মশিউর রহমান। উপজেলায় কর্ম এলাকায় যোগদান করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে রাত দিন সমান তালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী উন্নয়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। রাস্তা-ঘাটের সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, রাস্তা-ঘাট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা, দরিদ্র ভূমিহীন গৃহহারা মানুষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহ পৌঁছে দেয়া, দেশের ২য় বৃহত্তম বিল বিলভাতিয়াকে কৃষি ইপিজেড করে প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে প্রক্রিয়া অব্যহত রাখা।
এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাস, প্রচীর রং ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক দূর্ভব ছবি অঙ্কন করা। উপজেলার গ্রাম-গঞ্জের দোকান-পাটে ফুলের গাছ দিয়ে দৃষ্টি নন্দন করা। প্রায় ৭ মাসে সব মিলিয়ে পালটে দিয়েছেন ভোলাহাট উপজেলাকে। এদিকে মাদক, বাল্যবিয়ে, সন্ত্রাস-নাশকতা দমনে পিছিয়ে ছিলেন না মোঃ মশিউর রহমান। ঘুষ-দূর্নীতিকে ছাড় দেননি তিনি। বেতনের অর্থ দিয়েই খুশী থাকতে। তার কাজে কর্মে দক্ষতা ভালোবাসায় অল্পদিনে ভোলাহাট উপজেলায় তিনি হয়ে উঠেন ভোলাহাটের উন্নয়নের রূপকার। উপজেলাবাসির কাছে তিনি হয়ে উঠেন উন্নয়নের রূপকার, মানবতার কর্মকর্তাসহ নানা বিশেষণে বিশেষায়িত হয়েছেন। এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমানের সাথে। প্রশ্ন ছিলো সরকারের এজেন্ড বাস্তবায়নে দিনরাত যে ভাবে কাজ করছেন, পরিবারের সদস্যদের কখন সময় দেন এবং বিশ্রাম কত ঘন্ট হয়। তিনি বলেন, সরকার কাজ করার জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। ফলে কাজ না করলে দেশের সাথে জাতির সাথে প্রতারনা করা হবে। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সব সময় বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, পরিবারকে তেমন সময় দিতে পারি না। বরং পরিবারের সকলে আমাকে কাজ করার উৎসাহ দিয়ে থাকে। বিশ্রাম ২৪ ঘন্টায় ২ ঘন্টা হয় বলে জানান।
অবিরাম উন্নয়নের কাজে ছুটে বেড়া ভোলাহাটের উন্নয়নের রূপকার মোঃ মশিউর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হয়ে পদায়নের খবর আসে। ০৫.০০.০০০০.১৩৯.১৯.০০২ নম্বর স্মারকে ২৮ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় এর মাঠ প্রশাসন-২ শাখার প্রজ্ঞাপনে দেশের মোট ৫৭জন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে পদোন্নতি দেন। এর মধ্যে ভাগ্যবান দক্ষক ভোলাহাটের উন্নয়নের রূপকার মোঃ মশিউর রহমানের প্রজ্ঞাপনের ৩২ নং সিরিয়ালে স্থান করে নেন। তার পদোন্নতির খবর মুহূর্তে উপজেলায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলাবাসি আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন। তবে উপজেলাবাসি তার ভালোবাসা ও উন্নয়নে মুগ্ধ হয়ে কান্না ঝরা কন্ঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগে জড়িয়ে পড়েন। উপজেলাবাসির দাবী জেলা প্রশাসক হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এসে তার উন্নয়নের ভোলাহাটকে দেখে যাওয়ার অনুরোধ করেন। দাবী করেন ভোলাহাটে তার কাজ তাকে স্মরণ করে রাখবে। তার পদোন্নতির খবরে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।