ভুয়া বিদ্যালয় করে জাতীয়করন করাসহ ৫জন শিক্ষক কে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ৩০ হাজার টাকার চেক ও সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা লেনদেন ষ্ট্যাম্পে চুক্তি সম্পাদন করে টাকা গ্রহন করায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভালুকাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাইদের বিরোদ্ধে অর্থ আত্মস্বাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি ৩১ মার্চ নালিতাবাড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন পত্রের সূত্রে জানা গেছে, চাকুরী প্রার্থী উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের গেরাপচাঁ গ্রামের মজনু মিয়া ভালুকাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাইদের বিরোদ্ধে গত ১৭ জানুয়ারী নালিতাবাড়ী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগটি ৭ মার্চ বাদী, বিবাদী, স্বাক্ষী, প্রমানাদিসহ নালিতাবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। কিন্তু ওই তারিখে সহকারী শিক্ষক আবু সাইদ তদন্ত কাজে উপস্থিত না হয়ে ডাকযোগে লিখিত জবাব দেন।
পরে নালিতাবাড়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনপত্র বাদী বিবাদীর লিখিত জবাবে এবং দাখিলকৃত কাগজপত্র, চেক, ষ্ট্যাম্প, পর্যালোচনা করে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হয় যে, ভালুকাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাইদ নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গেরাপঁচা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করনসহ ৫জন শিক্ষক কে চাকুরী দিবে মর্মে অর্থ আত্মস্বাত করেন মর্মে প্রতিবেদন পত্রে বলা হয়।
অভিযোগকারী মজুন মিয়া বলেন, এই সাইদ মাষ্টার আমাদের গ্রামে স্কুল এবং স্কুল জাতীয়করন করে দিবে এই মর্মে সকল শর্ত মেনে সাইদ মাষ্টার লিখিত ষ্ট্যাম্পে ও চেকের মাধ্যমে সে আমাদের নিকট হতে টাকা গ্রহন করে। এখন স্কুল তো করবে দুরের কথা আমাদের টাকা সে আত্মস্বাত করেছে এবং উল্টো বিভিন্ন জায়গায় সে আমার বিরোদ্ধে অভিযোগ করছে। এই ধরনের প্রতারনাকারী শিক্ষকের বিরোদ্ধে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। যাতে এরকম কাজ আর কেউ না করে। আত্মসাৎকৃত টাকাগুলি আমি ফেরত চাই।
এব্যাপারে ভালুকাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু সাইদ বলেন, আমি গেরাপচাঁ স্কুল করি নাই। তারা ৪/৫ লক্ষ টাকা দাবী করে। অভিযোগ সত্য নয়। আমি শিক্ষা অফিসে লিখিত জবাব দিয়েছি।
ভালুকাকুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনারুজ্জামান মিন্টু বলেন, এই ঘটনা আমার বিদ্যালয়ের কিছু না।