সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের লক ডাউন। মঙ্গলবার ছিলো লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে নিহেধাজ্ঞা ছিলো উপেক্ষিত।
করোনা সংক্রমন রোধে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লঞ্চ পারাপার পুরোপুরি বন্ধ আর ফেরিতে জরুরী প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স ও কাচামালবাহি ট্রাকগুলো পারাপার করার কথা থাকলেও তা মানছেন না যাত্রী ও চালকেরা।
এ বিষয়ে জোরালো কোন পদক্ষেপও গ্রহন করছেন না ঘাট কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় প্রশাসন।
যে কারণে মঙ্গলবারও ফেরিতে এ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি বিভিন্ন কোম্পানির কাভার্ড ভ্যান, কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রাক ও অন্যান্য ট্রাক পারাপার করতে দেখা গেছে। এছাড়াও প্রতিটি ফেরিতে শত শত যাত্রি গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ৩ নম্বর ঘাটে গিয়ে দেখাযায়, সেখানে নদীর ওপার পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আশা “ফেরি ঢাকা” অন্তত ৫ শত যাত্রি আসে। এ সময় হুরোহুরি ও পাল্লাপাল্লি করে ফেরি থেকে নামতে থাকেন তারা। অনেকের মুখেই আবার মাস্ক নেই।
এ সময় ঢাকা থেকে আশা যশোরের যাত্রি খায়রুল বাশার বলেন, এক সপ্তাহ লক ডাউনের কারণে ঢাকায় বসে বসে না খেয়ে নীজ বাড়ি যাচ্ছি। পথে গন পরিবহন সংকটে ভোগান্তি হয়েছে। কিন্তুু ফেরিতে এসে মনে হচ্ছে করোনার সংক্রমন এখান থেকেই শুরু হইলো। তিনি আরো বলেন, ফেরিতে কেউ কারো কথা শুনছেন না। মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পার হচ্ছেন যাত্রিরা। এতে করোনার ঝুকি আরো বাড়ব বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত এই নৌরুটে ১৬ টি ফেরি চলাচল করলেও ১১ টার পর থেকে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সীমিত করা হয় ফেরি পারাপার। ফেরি পারাপার সীমিত করার কারণে বিকেলে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঘাট এলাকায় ৪ শত অপর দিকে গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আরো অন্তত ৩ শত পন্যবাহি ট্রাক পারের অপেক্ষায় আটকে পরে।
এ সময় ট্রাক চালক লুৎফর রহমান বলেন, আমরা ফেরি চলাচল স্বাভাবিক এ খবর পেয়ে কুষ্টিয়া থেকে এসেছি। কিন্তুু এখন ঘাটে বসে থাকতে হচ্ছে। প্রচন্ড গরমে খাবার, গোসল, প্রসাব পায়খানার কষ্ট হচ্ছে। শত শত ট্রাক সিরিয়ালে পরেছে বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের এজিএম ফিরোজ শেখ বলেন, এই নৌরুটের ১৬ টি ফেরি সচল রয়েছে। ১৬ টি ফেরি দিয়েই পারাপার সচল রাখা হয়েছিলো। কিন্তুু লক ডাউনের কারণে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকলি ১১ টার পর থেকে মাত্র ২ টি ফেরি দিয়ে জরুরী যানবাহন এ্যাম্বুলেন্স ও পচনশীল পন্যবাহি ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।
যে কারণে ঘাটের উভয় পারে কিছু ট্রাক আটকা পরেছে। তবে রাতের বেলায় আটকে থাকা পচনশীলসহ সকল ট্রাকগুলোকে পার করা হবে বলেও জানান তিনি।