২ এপ্রিল সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দির হাটফুলবাড়ী বাজার এলাকায় নিজেদের ঘর-দুয়ারে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার আসল উদ্যেশ্য ছিল লুটতাজের পর আদালতের নিদের্শনা অমান্য করে জায়গা জমি দখলে নেয়া। ঘটনার পরপরই বিরোধ পূর্ণ জমিতে মালিকানা সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া সংঘটিত অপরাধটির জলন্ত প্রমাণ। বুধবার সকালে হাটফুলবাড়ী বাজারে একটি ঘরে মামলার আসামীদের পক্ষে ওই কথা বলেন মারুফ হাসান। মারুফ হাসান গাবতলী উপজেলার শালুকগাড়ী গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ৩১/২০২০ মোকাদ্দমায় প্রতিপক্ষকে অন্তঃবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা আদেশদ্বারা নালিশী সম্পত্তিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ দখলে বাধা সৃষ্টিতে প্রতিপক্ষগনকে বিরত করা সহ কারণ দর্শনের আদেশ দেন। আদেশ মান্য করতে সারিয়াকান্দি থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষগণ সে কথা রাখেনি। তারা একের পর এক বিরোধপূর্ণ জায়গা জমিতে নানা ভাবে জবর দখলের চেষ্টা করতে থাকে। গত ২৫ শে মার্চ এমনি অভিযোগে সারিয়াকান্দি থানা পুলিমের এস আই মাহমুদ তদন্ত করতে আসেন। তদন্তের শুরুতে কোন কারণ ছাড়াই আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ লাঠি-শোটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে। এতে ৩জন গুরুত্বর জখম হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার ২ই এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অতর্কিত হামলা মারপিট করে বিভিন্ন রকমের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। মুদি দোকানদার মারুফ (৩৫), মিল মালিক মিলন (৫০), চাতাল মালিক হিমেল (৫২), শো-রুমের মালিক কাফি হাসানকে(২৫) হত্যার উদ্যেশ্যে মারপিট ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল আবারো লুট করে নিয়ে যায়। এরপরও দৃর্বৃত্তদের কর্মকা- থেকে থাকেনি। তারা একেরপর এক নিজেদের ঘর-বাড়ীতে হামলা চালায় এবং শত শত লোকের সামনে নিজ ঘরে অগ্নিসংযোগ করে আমাদের (হিন্দুদের) বাড়িতে মুসলমানরা আগুন লাগিয়েছে বলে চিল্লাপাল্লা করে। প্রাণ ভয়ে আমরা দোকান/মিল ঘর রেখে সড়ে পড়ি। এর পরপরই তুলারাম রাজভর, দিলিপ রাজভর, মাধু রাজভর গংরা আমাদের সম্পত্তিতে মালিকানা সাইন বোর্ড টাংগিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টায় মত্ত হয়ে পড়ে। আসলে ওই হামলা, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত।
পৈতিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে সরকারী নিয়মনীতি মেনে ৮০ বছর ধরে আমাদের শান্তিপূর্ন পরিবেশে ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে তারা রাম রাজত্ব কায়েম করে। হাটফুলবাড়ী বাজার এলাকার শত শত লোকের সামনে গুটি কয়েক হিন্দু এই বর্বরচিত কর্মকা- অনেক মানুষ দেখেছে ও শুনেছে। জমি নিয়ে বিরোধ হলেও ঘটনাটি ঘটার পর গুটি কয়েক হিন্দু কর্তৃক মুসলমানদেরকে নির্যাতনের সামিল বলে আমরা সহ অনেকেই মনে করছেন। আমরা ওই সব বর্বরোচিত হিংস্বাত্বক, মধ্যযুগীয় ও সর্বনাশা কর্মকান্ডের এবং সমাজের বিশৃংখলা সৃষ্টির তীব্র প্রতিবাদ করছি। এ বিষয়ে প্রতিপক্ষদের মামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তার প্রত্যাহারের দাবি করছি। এ ছাড়া ও ঐ দিন সন্ধ্যায় কতিপয় হিন্দু পরিবারের সদস্য নয়ন রাজভর, খোকন রাজভর, চয়ন রাজভর, মাধু রাজভরদের মধ্যকার টেলিফোনে কথো-পকোথন যাচাই বাছাই করলেই প্রকৃত ঘটনা বেড়িয়ে আসবে বলে আমরা বিশ^াস করি। ওই ঘটনা গুলির শুষ্ট ও নিরপক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের কাঠগরায় দাঁড় করাতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী রশিদ, হিমেল, মিলন, কাফি, রাফিসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।