লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধি মনির হোসেনের সম্পত্তি রেজি: করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবন্ধি ছেলে সম্পত্তি ফেরত দাবীতে শতবর্ষি মা হালিমা বেগম থানা লিখিত অভিযোগ করে। সৃষ্ট ঘটনা এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সুত্রে জানায়,উপজেলার ফতেহপুর গ্রামের ভুইয়া বাড়ির মৃত অজি উল্যাহর পুত্র জাকির হোসেন প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে একই বাড়ির মৃত সফি উল্যাহর শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধি মনির হোসেনের সাড়ে চার শতাংশ সম্পত্তি ২২ মার্চ রামগঞ্জ সাব-রেজি: অফিসে রেজিস্ট্রি করে নেয়। খবর পেয়ে প্রতিবন্ধির বোন আনোয়ারা বেগম এবং শতবর্ষি মা হালিমা বেগম থানা অভিযোগ করে।
শনিবার দুপুরে প্রতিবন্ধির মা হালিমা বেগম (১০৩) সাংবাদিকদের বলেন,আমার ছোট সন্তান মনির হোসেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধি হওয়ায় পড়া-লেখা করতে পারেনি। দিন-রাত রাস্তা-ঘাটে ঘুরাফেরা করে। সন্তানের বাবা মারা যাওয়া এবং বাড়িতে পুরুষ অবিভাবক কেউ না থাকার সুযোগে বাড়ির জাকির হোসেন প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে সাড়ে চার শতাংশ সম্পত্তি রেজি: করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন,মনির আমার জেঠা তো ভাই,দীর্ঘ ১৫ বছর বসত ঘরে খাওয়া-ধাওয়ায় করতে পারে না,পানপাড়া বাজারসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরা দিনাতিপাত করছে। তার ভাই-বোনেরা পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছে। মনির বুদ্ধি কম হলেও প্রতিবন্ধি নয়। সেই কয়েক বছর যাবত সম্পত্তি বিক্রি করতে মানুষের ধারস্থ হচ্ছে। কেউ ক্রয় না করায় আমি ন্যায্য মুল্য দিয়ে ক্রয় করেছি। স্থানীয় মেম্বার মোবারক উল্যাহ বলেন,মনির হোসেন প্রতিবন্ধি হওয়ায় আমি তাকে প্রতিবন্ধির ভাতার কার্ড করে দিয়েছি। জাকির হোসেন শুধু প্রতিবন্ধি নয় তার গর্ভধারী মা এবং আপন বোনের সম্পত্তি প্রতারনার মাধ্যমে রেজি: করে নিয়েছে। চন্ডিপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন,প্রতিবন্ধি মনির হোসেন মা,ভাই-বোন এবং স্থানীয় মেম্বার বিষয়টি জানিয়েছে। প্রতিবন্ধির সম্পত্তি এই ভাবে নেওয়াটা সত্যেই দুঃখজনক। রামগঞ্জ থানার এস.আই হুমায়ুন কবির বলেন,অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। অভিযুক্ত এলাকাতে না থাকায় মুঠোফোনে কথা বলি। কিন্তু সমাধান করার ইচ্ছে প্রকাশ করছে না।