স্বামীর বাড়িতে দুইদিন অপেক্ষা করেও ঠাই হলো না সানি (২১) নামে অন্তঃসত্ত্বা নারীর।সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে স্হানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার (১০ এপ্রিল ) বিকালে গফরগাঁও পৌরশহরের শিলাসী গ্রামে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরের শিলাসী গ্রামের হারুন উর রশীদের ছেলে শামছুল হুদা(৩০) এর সাথে উস্থি ইউনিয়নের দিয়ারগাঁও গ্রামের প্রবাসী রুহুল আমিন মির্জার মেয়ে সানির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত জানুয়ারী মাসে পরিবারের অজান্তে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। স্বামী আর স্ত্রী উভয়ে মাস্টারবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। গত পাঁচ দিন আগে সানি কে ভাড়া বাসায় একা ফেলে রেখে চলে আসে স্বামী শামসুল হুদা।
পরে স্বামীর খোঁজ করতে সানি শুক্রবার স্ত্রীর দাবী নিয়ে শিলাসী গ্রামে স্বামীর বাড়িতে ওঠতে গেলে বাঁধার সম্মুখীন হয়।একাধিক বার চেষ্টা করেও স্বামীর ঘরে আশ্রয় মিলেনি। রাতে সানিকে আবদুল বেপারী গেইটের সন্মুখে ফেলে রেখে চলে আসেন তার ভাসুর।পরে তাকে ইসমাইল (৫০)নামে এক ব্যক্তি স্বামীর বাড়িতে রাত দুইটার দিকে আবার পৌঁছে দেন।স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় না পেয়ে সানি ঘুমের ওষুধ সেবন করে শিলাসী ফকির বাড়ির সামনে পরে থাকে।পরে স্থানীয়রা সানিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সানির মা রুমা খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সানিকে অন্তঃসত্ত্বা দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী শামসুল হুদা পলাতক রয়েছে। পৌরসভায়
প্যানেল মেয়র শাহজাহান সাজু বলেন,একাধিক বিয়ে করেছে শামসুল হুদা। তার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে মহিলা স্বামীর বাড়িতে ওঠতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
গফরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত)মির্জা মুর্শেদ আনোয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।