শাহজাহান আলী চাষী সাহেবের গত ১০ এপ্রিল চতুর্থতম মৃত্যুবার্ষিকী পূর্ণ হয়েছে। তিনি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের একজন সফল জনপ্রিয় চেয়ারম্যান। একজন সফল চেয়ারম্যানের গল্প প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন, তিনিই হবেন সফল। এমনই একজন সমাজ সেবক শাহজাহান আলী চাষী। যিনি অনেক বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
শাহজাহান আলী চাষী শেরপুর সদর উপজেলার চর শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করেছেন, এমনটি ইউনিয়নবাসীর দাবি। পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নে সর্বোপরি বাসযোগ্য আদর্শ ইউনিয়ন বিনির্মাণে চাষী সাহেব সব সময় স্বপ্ন দেখতেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন তিনি। কাজে সফলও হয়েছেন। চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতা পাওয়ায় চাষী সাহেব নিজ ইউনিয়নের গ-ি পেরিয়ে সম্মানিত হয়েছেন উপজেলার সর্বত্র।
তাঁর কর্মকা-ে মনে হয়, তিনি যেনো চেয়ারম্যান ছিলেন না। বরং তিনি হয়ে উঠেছিলেন 'জনপ্রতিনিধি থেকে 'প্রিয় জনবন্ধু'। অভিজ্ঞতা আর কর্মদক্ষতায় অতিঅল্প সময়ের মধ্যে চাষী সাহেব জনপ্রতিনিধির পদ থেকে জনগণের মণিকোঠায় স্থান করে নেন।
এই সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন চাষী সাহেব। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। একই সাথে এলাকার ভাবমূর্তিরও হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সমাজসেবী চাষী সাহেব। ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত ন¤্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজও সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন এলাকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। এই সফল মানুষটি স্বজন থেকে শুরু করে যেকোনো মানুষের বিপদ-আপদে ছুটে গেছেন। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে আজও স্বরণীয়। এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, চেয়ারম্যান কিংবা জনপ্রতিনিধি ছিলেন না শাহজাহান আলী চাষী। তিনি ছিলেন 'প্রিয় চাষী ভাই'। তিনি যেমন ভালো মানুষ, তেমনই কর্মঠ ব্যক্তি। চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন ইউনিয়নবাসী তথা এলাকার উন্নয়ন সাধন করছেন। কারো দুঃখ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যেতো। সর্বোপরি তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেণীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রিয় ইউনিয়নকে উন্নয়নের মাস্টার প্লানের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন চাষী সাহেব। মেধা, মনন, কর্মপ্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েন পরিশীলিতভাবে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
ওই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান জানান, 'ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চাষী পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের মানুষ। তিনি সময়ের পালাবদলে জাসদ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির রাজনীতে সম্পৃক্ত ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে জাতীয় পার্টির আদর্শে বেশী সময় অতিবাহিত করেন চাষী সাহেব। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি ইউনিয়নের উন্নয়ন করেন সমহারে।'
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আরও দাবি করেন, 'সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ চাষী সাহেবকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে।'
জানা যায়, চাষী সাহেব এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেন। একদিকে ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরীব দুখী মানুষের মাঝে অনুদান সঠিকভাবে বিতরণ করেন। অন্যদিকে, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও করেছেন। শেষ জীবনে চাষী সাহেব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন।
পাঁচ সন্তানের জনক চাষী সাহেবের সাথে আমার কোনো দিন যেমন কথা হয়নি, তেমনই হয়নি দেখাও। তবে সাংবাদিকতার দায়ে আমি যখন সত্য প্রমাণে কঠিন মসিবতের মুখোমুখি হয়েছিলাম, ঠিক সেই চরম মূহুর্তে আমার স্কুল শিক্ষক বাবা চাষী সাহেবের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কথা বলার বাচনবঙ্গী, মেহমানদারি, মসিবতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আশার বাণী বিলানো, দুখের কথা শোনা, সবমিলিয়ে চাষী সাহেব যে একজন উচ্চ মাপের ব্যক্তি ছিলেন, তাতে বিন্দুমাত্রও ঘাটতি ছিলনা। চাষী সাহেবের অমায়িক ব্যবহারে ছেলের চরম বিপদেও স্বস্তি ফিরে পান আমার বাবা। নিশ্বাস নেন মুক্তির। চাষী সাহেবের দেয়া প্রতিশ্রুতিতে আমার বিপদ মুক্তির আশায় বুক বেঁধে বাড়ি ফিরেন বাবা। চাষী সাহেবের অমায়িক শিখনীয় ব্যবহারের এসব কথা পরবর্তী আমি বাবার কাছে শুনে অনেকটাই সত্য প্রমাণে বিপদমুক্তির আশায় প্রহর গুনছিলাম। চাষী সাহেব বাবাকে আসস্ত করে ছিলেন, 'আপনার ছেলের কিচ্ছু হবে না', ইনশাআল্লাহ।
খোদ নন্দিত চেয়ারম্যান চাষী সাহেবের ঔরসজাত তদন্ত কর্মকর্তা পুত্রের তদন্তে ব্রিজখেকোদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আমি যখন কারাঅভ্যন্তরে অস্বাভাবিক জীবনযাপনে পরিশান্ত, ঠিক এমন সময় যোগ্য চেয়ারম্যান বাবার দায়িত্বশীল মুক্তির বার্তা কম করে হলেও স্বস্তিদায়কই বটে। কিন্তু বিধিবাম! কপালে মিথ্যা মামলা থাকলে ঠেকায় কে? শেষমেশ কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সব চেষ্টা আর মুক্তির বার্তা ফিকে গিয়ে প্রায় যুগ পূর্ণ হতে চলছে সাধের সাংবাদিকতার দায়ে সত্যখেকোদের নগ্নতায় আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি।
তবে এতকুটু আমি নিশ্চিত হয়েছি, চাষী সাহেব আমার বিপদমুক্তিতে যথাযথ তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট ছিলেন। হয়তো নিয়তি তাঁকে আমার উপকারে আসতে বাঁধ সেজে ছিলো। তা, না হলে নিশ্চয় নন্দিত জননেতা চাষীর পুত্র আমার কষ্টের কারণ হতো না। আর আমাকেও যুগ ধরে বহন করতে হতো না উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলার ঘানি।
চাষী সাহেব নিশ্চয় একজন যোগ্য পিতার আসনে আসীন। তাঁর চার ছেলের মধ্যে একজন বর্তমানে থানাপাড়ার শীর্ষকর্তা। অর্থাৎ ওসি। বাকিরা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। যোগ্যপাত্রস্থ করেছেন একমাত্র মেয়েকেও। সবমিলিয়ে চাষী সাহেব শুধু সুযোগ্য পিতাই নন, বরং সুযোগ্য অভিভাবকেরও মর্যাদায় ভূষিত।
চার বছর গত হলো জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চাষী সাহেব পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপাড়ে পাড়ি জমিয়েছেন। আমার স্কুল শিক্ষক বাবা আজও মহান আল্লাহতায়ালা কৃপায় শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত। আমরা সর্বোপরি চাষী সাহেবকে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে চিন্তা করি। তিনি বেঁচে না থাকায় নিদারুণ কষ্ট হচ্ছে। শ্রদ্ধাভাজন চাষী সাহেব আজ বেঁচে থাকলে হয়তো তাঁর কাছে আমার বিরুদ্ধে আদালতে দাখিলকৃত হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগপত্রের নাতিদীর্ঘ ফিরিস্তি তুলেধরা যেতো।
উল্লেখ্য, আজ আমি সাংবাদিকতায় আদালতের দ-ের মুখোমুখি! সত্যখেকোরা উচ্চ আসনে আসীন! দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার শ্রী শ্যামল চন্দ্র সাহা আজ সিআইপি মর্যাদায় ভুষিত। একযুগ আগে দশআনী নদীর ওপর প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬০ মিটার ব্রিজ নির্মাণ কাজে ঠিকাদারকে দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা তৎকালীন এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েত কবীর, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম পদন্নোতির সুযোগে বড় বড় শহরে একাধিক সুরম্য দালানের মালিক। উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহীম খলিল শহরে দামি দালানের মালিক। ওয়ার্ক এ্যাসিস্ট্যান্ট মামুন শহরে বাসাবাড়ির মালিক। ব্রিজ নিমার্ণ কাজের দুর্নীতির খবর পত্রিকায় প্রকাশের জেরধরে দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দায়েরকৃত মামলায় রাগ বাড়িয়ে আদালতে বানানোয়াট চার্জশিট দাখিলকারী তদন্ত কর্মকর্তা পদন্নোতি নিয়ে থানার শীর্ষকর্তার আসনে বাহারি জীবনযাপন করছেন। কিন্তু নিম্নমানের নির্মাণ কাজ করায় আজ ব্রিজটির অবস্থা শোচনীয়। ব্রিজটিতে চারটি রডের স্থলে তিনটি রড দেয়া রেলিং পোস্ট ভেঙে গেছে। এ্যাপ্রোচ অনেক আগেই ধসে পড়েছে। ছাদের ঢালাইয়ের আস্তরেরবস্থা বড়ই নাজেহাল। গাইড ওয়াল ধসে কোথায় গেছে, তার কোনো ইয়েত্তা নেই! পাইলে রডের পরিবর্তে বাঁশের খাঁচা বসানোর খবরের পত্রিকা আজও সুরক্ষিত।
নিমার্ণ কাজের দুনীর্তির খবর লেখার দায়ে শুধু আমাকেই ভোগতে হচ্ছে নিদারুণ হয়রানি। দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার শ্যামলের ডাহা মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে বছরের পর বছর। দুর্নীতিবাজরা আরাম-আয়েশে রাজকীয় জীবনযাপন করবে! দুর্নীতির প্রতিবাদকারীরা মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার গ্লানি বইবে? এরই নাম হতে পারে বিচার! এরই নাম স্বাধীন নামক এগিয়ে যাওয়ার ডিজিটাল রাষ্ট্র!!!
নন্দিত চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী চাষী আর কখনো বাজাবেন না প্রশান্তির বাঁশি। তিনি আর কখনো আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না। তবে তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শকে আমরা যদি হৃদয়ে ধারণ করি, পালন করি তাঁর আচার-আচরণ, তবেই আমাদের চরিত্রেও তাঁর আলোকিত জীবনের গুণাবলির ঝলকানি দেখা যেতে পারে।
আমরা মনে করি, নন্দিত চাষী চেয়ারম্যানদের আদর্শে সবাই যেমন দীক্ষিত হতে পারেন না। তেমনই চেয়ারম্যান হলেও সবাই 'নন্দিত চেয়ারম্যান' হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না।
জনবন্ধু শাহজাহান আলী চাষীর রেখে যাওয়া ঔরসজাত সন্তানরা যেনো অন্যের কষ্টের কারণ না হোন, আজ এমনটাই শোকাতর হৃদয়ে জগত মালিকের শাহী দরবারে প্রার্থনা। আমরাও যেনো চাষী সাহেবের নিষ্কণ্টক চরিত্রের অধিকারী হতে পারি। মহান আল্লাহতায়ালা যেনো মরহুম চাষী চাচা মিয়াকে বেহেস্তের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। আর আমাদেরকে সহজ ও সরল পথে চলার তৌফিক দেন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
(লেখক: এম. কে. দোলন বিশ্বাস, সাবেক সহসম্পাদক দৈনিক সংবাদ)