নিবন্ধের শুরুতেই কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “যেতে নাহি দিব” কবিতার পংক্তির দুটি কথা যেতে নাহি দিব তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায় এবং অপরটি হচ্ছে পোস্টমাস্টার গল্পে বদলী জনিত কারণে অন্যত্র চলে যাওয়া কালে পোস্টমাস্টারকে সেবা যতœ করা রতনের আকুতি। দাদা বাবু যদি আবার চলে আসেন। এর মোদ্দা কথাই এ নিবন্ধটির স্মৃতি কথা তাৎপর্য ও উদ্দেশ্য। যা তিলকে তাল ও কলাগাছকে বটবৃক্ষ না বানিয়ে বাস্তবতার আলোকেই দিকদর্শন ও দৃশ্যপট হিসেবে উল্লেখিত। তবে নিবন্ধটিতে আরও যা তুলে ধরার প্রয়োজন ছিল সংক্ষিপ্ত কলেবরের কারণে তা তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।
বহুকাল থেকেই গতানুগতিকভাবে পদোন্নতি ও চাকরির বদলীজনিত কারণে এক স্থান থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া মামলি ও সাধারণ ব্যাপার। তাছাড়া একই কর্মস্থলে পদোন্নতি ও অন্যান্য কারণে বছরের পর বছর ধরে কেহ থাকতেও পারে না। যা চাকরি বিধি ও বাস্তবতারই প্রতিফলন। এর মাঝেই রয়েছে তাদের কর্মের ফিরিস্থি ও আমলনামা। কেহ মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অশ্রুসিক্ত ভালোবাসা নিয়ে বিদায় হয়, আবার অনেকেই রাতের অন্ধকারে বা নিশীত রাতে কাহাকেও না জানিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে থাকে। এ নিয়ে রয়েছে বাস্তবতার আলোকে অসংখ্য উদাহরণ ও ভুরি ভুরি দৃষ্টান্তের প্রতিচ্ছবি। যার মধ্যে রয়েছে চাকরি জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে দোষ গুণের সমাহার। কেহ যেমন মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা ও অপূর্ব ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত হয়ে বিদায় নেয়, তেমনি আবার কেহ মানুষের নাজেহালের ভয়ে নিশীত রাতের অন্ধকারে চলে যাওয়াকে বেছে নিতে হয়। এমন ঘটনা হয়তো অনেকেরই না জানার কথা নয়। জামালপুর জেলার সাবেক জেলা প্রশাসকসহ আরও অনেকের বিদায় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে তুচ্ছভরে প্রত্যাখ্যান না করার সুযোগও একেবারে পরাহত।
আজ প্রায় ৩০/৩২ বছর ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন দিকদর্শন, রাজনীতি, দুর্নীতি ও সমকালীন প্রসঙ্গ নিয়ে লিখে আসছি। এছাড়া ৮০’র দশকে কিশোরগঞ্জ মহকুমা থেকে আমার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক নতুন দেশ নামে একটি পত্রিকা বের করেছিলাম। যার উপদেষ্টা ছিলেন, তদানীন্তন মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) নূরুজ্জামান মিয়া ও মহুকুমা পুলিশ কর্মকর্তা (এসডিপিও) অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। তার আগে মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ও সৈয়দ ইরফানুল বারী সম্পাদিত সাপ্তাহিক হককথা ও মওলানা ভাসানীর পুত্র আবু নাসের খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত সাপ্তাহিক প্রাচ্যবার্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলাম। আজ প্রায় কয়েক বছর যাবৎ ঢাকা থেকে প্রকাশিত মোঃ নজরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত দৈনিক মুক্ত খবরের সিনিয়র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আমার কলাম প্রকাশিত হয়ে আসছে। আমার নিবন্ধে দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে ও পক্ষপাতহীন ও বাস্তবতার আলোকে সঠিক তথ্য, তত্ত্ব ও উপাত্ত পরিস্ফুটনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। যে কারণে কোনো প্রকার কেমোফ্ল্যাক্স ও ক্যারিশমেটিক আমার লেখাকে নিয়ে সমালোচনা করার সুযোগ নেই। নিরপেক্ষতাই আমার দিকদর্শন এবং কোনো ছোঁয়া আমার কলমকে স্পর্শ করেনি।
এক সময় মওলানা ভাসানীর জীবদ্দশাতে ও তাঁর মৃত্যুর পর তার রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। ১৯৭৬ সালে ঢাকার হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে ভাসানী ন্যাপের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছি। একবার কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ নির্বাচন করেছি। যখন উপলব্ধি করতে পেরেছি স্বার্থের কারণে রাজনীতিতে ডান বাম এক হয়ে যায়, আবার অনেক সময় ডান থেকে বামে এবং বাম থেকে ডানে চলে আসে। এই হিসেব মিলাতে না পেরে রাজনীতি থেকে এখন অনেক দূরে অবস্থান করছি। যাক, সেদিকে আর সামনে এগুতে চাচ্ছি না।
১৯৮৪ সলে কিশোরগঞ্জ জেলা হওয়ার পর থেকে অনেকেই জেলা জজ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মধ্যে জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নান (বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী), জেলা প্রশাসক ফজলে কবির (বর্তমানে গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক), জেলা জজ সহুল হোসাইন (অবসরপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার), জেলা জজ রুহুল আমিন (অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি), পুলিশ সুপার গোলাম কিবরিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি) নাম সমধিক উল্লেখযোগ্য। এলাকার মানুষ আজও তাদের নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে। জানা মতে এ নিবন্ধে কিশোরগঞ্জের দুই জন সাবেক জেলা প্রশাসকের প্রতি মানুষের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও বদলীজনিত কারণে তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করার সময়ের দৃশ্যপট অতি সংক্ষিপ্তভাবে তোলে ধরলেও অনেক কিছু তুলে ধরতে পারি নাই বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, তোয়াজ, তোষামোদ ও স্বার্থপরতার কারণে দেশের অনেক নিষ্ঠাবান, আদর্শবান ও সৎ কর্মজীবি মানুষগুলোর প্রচার, প্রচারণা অনেক পেছনে পড়ে রয়েছে। এর পেছনে ঈষধভঃড়পৎধপু বড় বাধা হয়ে রয়েছে বলে অনেকেরই ধারণা। আর যাদের নিজেদের কর্মদোষে পেছনে থাকার কথা তাদের কেমোফ্ল্যাক্সের কারণে অনেক ক্ষেত্রে যেন জগদ্দল পাথরের মতো মাথার উপর চেপে বসেছে। সিনিয়রকে ডিঙিয়ে অনেকে যেমন ফিট লিস্টে ডিসি, এসপি হচ্ছে, তেমনি অনেকে সিনিয়রকে ডিঙিয়ে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে মরহুম সাবেক বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী এক সময় ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, দেশের ভালো মানুষগুলো আজ বড় অসহায় ও হতাশাগ্রস্থ। আর খারাপ লোকগুলো মাথার ওপর চেপে বসেছে। যদিও এই কথার প্রতিফলন দিনের পর দিন রাজনীতি, শাসন, প্রশাসন ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।
বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান এক সময় কিশোরগঞ্জের মহকুমা প্রশাসক ও ১৯৮৪ সালের জেলা প্রশাসক হিসেবে সকল শ্রেণী, পেশা ও এলাকার সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন। যে কোন লোক যে কোন ব্যাপারে তার সাথে অফিসে ও বাসায় দেখা সাক্ষাতের ব্যাপারে কোনো বিধি নিষেধ ছিল না। তিনি অগনিত মানুষের রোগে শোকে চিকিৎসার ব্যবস্থা, আর্থিক সহযোগিতা ও অসহায়দের বিবাহের ব্যবস্থা করে গেছেন। এলাকার মানুষের কাছে তিনি পরিচিত জনহিতৈষি ও জনসেবক এম.এ মান্নান হিসেবে। যা দুকথা লেখে শেষ করার মতো নহে। বিদায় বেলায় এলাকার সর্বস্তরের নারী পুরুষ তাহাকে যে অভূতপূর্ব সম্মান ও ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছে তা ভুলার নহে। যে দৃশ্যপট আজও ক্যামেরায় বন্দী হয়ে আছে। মানুষের জন্য কিছু করলে, মানুষকে ভালোবাসলে এবং মানুষের শোকে, দুঃখে হাত বাড়ালে তা কোনোদিন বিফলে যায় না। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, এম.এ মান্নানের সহধর্মীনি অধ্যাপিকা জুলেখা মান্নানেরও সহৃদয়তার কথা আজও মানুষ ভুলতে পারেনি। মানুষ মানুষের জন্য এ কথার প্রতিফলন জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নানকে যেমন প্রশংসিত ও জননন্দিত করেছে, তেমনি তাঁর সহধর্মিনীর আচার আচরণেও ধন্যবাদ ও প্রশংসা জ্ঞাপন করে থাকে। মানুষের হৃদয় নিংড়ানো অশ্রুসিক্ত প্রাণঢালা ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নান কিশোরগঞ্জ থেকে চলে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পর ২০০৬ সালে ফজলে কবির কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন। কিশোরগঞ্জ মহুকুমা থেকে ১৯৮৪ সালে জেলায় উন্নীত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক হিসেবে অনেকেই এসেছেন, গিয়েছেন আছেন এবং আরও হয়তো অনেকেই আসবেন এবং যাবেন। তবে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক হিসেবে এম.এ মান্নান (বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রী) ও ফজলে কবির (গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক) যেভাবে সকল শ্রেণী, পেশা ও সাধারণ মানুষের মন জয় করতে পেরেছিলেন তা আজও জেলার মানুষ ভুলতে পারেনি। মানুষ যেমন তাদের কর্ম, দেমাগ, অহংকার ও হিংসাবিহীন সুন্দর আচরণকে আপন করে নিয়েছিলেন, তাঁহারাও মানুষকে এমনিভাবে ভালোবেসে ছিলেন। তাদের মাঝে আমিত্ব এবং ডিসি বা জেলা প্রশাসক হিসেবেও কোনো ভাব দৃশ্যমান হয়নি। মানুষের ভালোবাসাই স্বর্গ এ কথার তাৎপর্য ও যথার্থতা তাদের মাঝে যথেষ্ট খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের ভালোবাসার মাঝে ছিল না কোনো মেকিয়াভেলি বা অনেকের মতো লোক দেখানো তামাশা বা ঐরঢ়ড়পৎধপু। তাদের দুজনকে একই দৃষ্টিতে দেখতে পেরেছি বলে পৃথক করে মূল্যায়ন করতে চাচ্ছি না। এছাড়া দুজনের প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি, মানুষের প্রতি ¯েœহ মমতা, দয়া ও ভালোবাসা প্রায় একই ধরণের ছিল বলেই মনে হয়েছে। তাদের কাছে জনস্বার্থ ও মানুষের উপকার ছিল সবচেয়ে বড়। যে বৈষম্য চোখে পড়েনি। সবকিছুর ব্যাপারে দলমতের উর্ধ্বে ছিল তাদের অবস্থান। এখানে আরেকটি বিষয় যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে থাকে। যা না বললেই নয়। তাদের দুজনের
সহধর্মিনীও শ্রেণী পেশা ও সাধারণ মানুষের পাশে থাকার যথেষ্ট দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। সরকারি এতিমখানার অনেক মেয়েদের বিবাহ সাদী থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অনেক অসহায় কর্মচারী তাদের পরিবার পরিজনসহ অনেকেরই অসুখে, বিসুখে, আপদে, বিপদে যারপর নাই সাহায্য সহযোহিতার উদাহরণ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যা স্মৃতি হয়ে রয়েছে।
ওনারা দুজনেই সরকারি কর্মকর্তা হলেও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের চেয়ে কোনো অংশে মানুষের জন্য বেশী বৈ কম করেনি। যতীন্দ্র মোহন বাগচির একটি কবিতার পংক্তি ছিল, “ভালোবাসায় ভুবন করে জয়, শত্রুকে সে বন্ধু বলে ঝাপটে ধরে শেষে, ভালোবাসায় ভুবন করে জয়।” জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নান (বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী) ও ফজলে কবির (গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংক) কবির এ পংক্তিকে যথাযথভাবে লালন, পালন ও ধারণ করেছিলেন বলেই আজও মানুষ উভয়কেই শ্রদ্ধা ও সম্মানসহ স্মরণ করে থাকে। গধহ রং সড়ৎঃধষ অর্থাৎ মানুষ মরণশীল। কেহই চিরদিন থাকবে না। তবে প্রত্যেকেরই কার্যকলাপ অমর হয়ে থাকবে। তাই হয়তো বিশ্ব বিজয়ী বীর আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট মৃত্যুর আগে সহকর্মীদের বলে গিয়েছিলেন, “আমার মৃত্যুর পর আমার দুটি হাত কফিনের বাহিরে রাখিও। মানুষ দেখুক আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট খালি হাতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছে।
মানুষকে যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করে তাঁর অর্পিত দায়িত্ব সূচারুরূপে পালন করে তবে সেই কর্মকর্তাকে এলাকার জনগণ যথাযথ সম্মান জানাতে ভুল করেনি। এম.এ মান্নান ও ফজলে কবির জেলা প্রশাসকের আসনে সমাসীন থেকে দল, মত, জাতি, ধর্ম ও বর্ণগোত্র নির্বিশেষে সকলকে ভালোবেসেছিলেন বলেই তাই তাদের বিদায় বেলায় এলাকার জনগণ চোখ নিংড়ানো অশ্রু, ভালোবাসা ও ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় জানাতে ভুল করেনি। পোস্টমাস্টার গল্পেও যেতে নাহি দিব কবিতার পংক্তিতে যেভাবে বিদায়কে ধরে রাখা হয়েছে তেমনি জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নান ও জেলা প্রশাসক ফজলে কবিরের বিদায় বেলায়ও একই সুর ও অশ্রুবেদনার দৃশ্যপট দেখা দিয়েছে। এ স্মৃতি আমার মতো অনেকের হৃদয় থেকে কোনো দিন ভুলে যাওয়ার নহে। মানুষ যদি ক্ষমতার দাপট, গর্ব, অহংকার, আমিত্বভাব, হিংসা, বিদ্বেষ এসব কিছু ভুলে গিয়ে মানুষের জন্য কিছু করে থাকে তা যেমন ভুলে যাওয়ার নহে, তেমনি এ স্মৃতি অম্লান, চিরভাস্বর ও চিরজাগ্রত।
জেলা প্রশাসক এম.এ মান্নান ও ফজলে কবির কর্ম জীবনে যে সুনাম, যশ, খ্যাতি, কীর্তি, প্রশংসা, মানুষের দোয়া ও মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে গেছেন এবং এমনিভাবে দুজনই তাদের বর্তমান জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যথেষ্ট সুনাম, প্রশংসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবেন বলে জনপ্রত্যাশা।
স্বনামধন্য প্রাবন্ধিক ডাঃ লুৎফুর রহমান তাঁর জীবনের মর্যাদা প্রবন্ধে লিখেছেন, মানুষের আলীশান বাড়ী, গাড়ী, অর্থবিত্ত, ক্ষমতার বাহাদুরী ও বাপ দাদার বড় বড় উপাধিতে সম্মান বা মর্যাদা বাড়েনি। মানুষের শোকে দুঃখে শান্তনা, সহযোগিতা, জাগ্রত বিবেক ও মানুষের ভালোবাসার মাঝেই রয়েছে ইজ্জত, সম্মান ও প্রভূত মর্যাদা। দেশের শাসন, প্রশাসন ও অন্যান্য পরিসরে যাতে এম.এ মান্নান ও ফজলে কবিরের মতো আদর্শ মানুষের স্মৃতিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে ইহাই হোক আমাদের পাথেয়। পরিশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মান্নান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির মহোদয়কে ধন্যবাদ ও শুভাশীষ জানিয়ে বলব, আপনারা ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এবং দেশ, জাতি ও জনগণের স্বার্থে আপনাদের চলার পথ হোক আরও সুন্দর ও নির্মল। যুগে যুগে আপনারা দেশ, জাতি ও জনকল্যাণে গর্বিত ও সুযোগ্য সন্তান হিসেবে অমর হয়ে থাকুন। এ জগতে মানুষের ভালোবাসা ছাড়া মহিয়ান আর কিছু নেই।
(এ.কে.এম শামছুল হক রেনু)
লেখক কলামিষ্ট