ভেজাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো রমজান ঘিরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওসব প্রতিষ্ঠান রমজানে ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত খাদ্যপণ্যই বেশি উৎপাদন করছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের পণ্যের মান রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই ইফতার ও সেহরির সাথে সম্পৃক্ত ৬৬১ ধরনের খাদ্যপণ্য বাজার থেকে সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবে পরীক্ষা করে। তার মধ্যে ৫০টি নি¤œমানের পণ্য পাওয়া গেছে। ওসব প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে এবং আগামীতে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে জানানো হয়েছে। তবে বিএসটিআই ওসব প্রতিষ্ঠানের নাম জানায়নি। তাছাড়া আরো ১৭৩টি খাদ্যপণ্যের নমুনাও পরীক্ষাধীন রয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিএসটিআই দেশের একমাত্র জাতীয় মান প্রণয়নকারী সংস্থা। বর্তমানে ২২৭টি পণ্য বিএসটিআই বাধ্যতামূলক মানসনদের আওতাভুক্ত রয়েছে। বিএসটিআই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শুধু মানসম্মত পণ্যের অনুকূলে সিএম লাইসেন্স প্রদান বা নবায়ন করে। করোনা মহামারীকালেও বিএসটিআইয়ের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু আছে। আমদানিকৃত পণ্যসহ জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ পণ্য পরীক্ষা করার জন্য বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরিগুলো খোলা রাখা হয়েছে। বিভিন্ন শপিংমলসহ যেসব দোকান খোলা আছে, সেগুলো মানসম্মত পণ্য সঠিক ওজন ও পরিমাপে বিক্রি/বিতরণ করছে কিনা বিএসটিআই তা সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমেও যাচাই করছে।
সূত্র জানায়, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপি রোধে সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে একদিনেই ৩৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার বাজারেও এমন অভিযান পরিচালিত হয়।
এদিকে এ প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী জানান, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের ওজন এবং পরিমাপে কারচুপি রোধে চলমান ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম জোরদার করা হবে। ঢাকা মহানগরীতে বিএসটিআইয়ের নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের নেতৃত্বে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।