বিয়ের এক মাস পার হতে না হতেই খালাতো ভাইয়ের বউয়ের সাথে স্বামীর দীর্ঘদিনের পরকীয়ার জের ধরে বলি হল সাথী ম-ল নামে এক নববধূ। লাশ উদ্ধার করে সোমবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ মৃত্যুর ঘটনায় সাথীর স্বামী শুশেন ম-ল ও তার কথিত প্রেমিকা ভাবী কণিকা ম-লকে পুলিশ আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার অশোকনগর গ্রামে।
নিহত সাথীর স্বজন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, চিতলমারী উপজেলার অশোক নগর গ্রামের মৃত শুভাষ ম-লের ছেলে শুশেন ম-লের সাথে বাগেরহাট সদর উপজেলার সাহসপুর গ্রামের বিকাশ বিশ্বাসের মেয়ে সাথীর মাস খানেক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১৮ এপ্রিল রোববার বিকাল ৫টায় স্বামীর বাড়িতে ঘরের বারান্দায় সাথীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশিরা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক ঘটনা স্থলে ছুটে যান। এ সময় সাথীর স্বামী শুশেন ম-ল ও তার ভাবী কণিকা ম-লকে গ্রামবাসি ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ বিষয়ে অশোক নগর গ্রামের হরিদাস ম-ল জানান, কোন ভাবেই এটা আত্মহত্যা হতে পারে না। লোকজনের চিৎকার শুনে তিনি প্রথম লাশের কাছে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন ঘরের বারান্দায় সাথীর গলায় রশি দেওয়া ঝুলন্ত লাশের হাঁটু মাটিতে ঠেকানো। সাথীর স্বামী শুশেন ম-ল ও তার ভাবী কনিকার অনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারে আগে অনেকবার শালিশ-বৈঠক করা হলেও তারা একটুও সুধরাইনি। সাথীর স্বামীর পরকীয়ার বলি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মৃত সাথীর বড় বোন শুক্লা পোদ্দার ও মা কানন বিশ্বাস কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সাথীকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। শুশেনের সাথে তার ভাবীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় সাথীকে হত্যা করা হয়েছে। জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অত্মহত্যা প্ররোচনায় মামলা হয়েছে। সাথীর স্বামী শুশেন ম-ল ও তার ভাবী কণিকা ম-লকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, সাথীর স্বামী শুশেন ম-ল ও তার ভাবী কনিকার সম্পর্কের ব্যাপারে অনেক বার শালিশ দরবার করা হয়েছে, কিন্তু তাদের ফেরানো যাইনি।