ফেনী শহরের ট্রাংক রোডে লকডাউন চলাকালে এক যুবকের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশের এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনাস্থলে থাকা দুই কনস্টেবলকে কৈফিয়ত দিতে তলব করা হয়েছে।
গণমাধ্যমকে সোমবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাইনুল ইসলাম জানান, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে জড়ানো যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তার সাথে পুলিশ সদস্যরা আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতেন।
পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী স্বাক্ষরিত ওই আদেশে এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৯ এপ্রিল) লকডাউন চলাকালে ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে এক যুবকের হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাইস্কুলের সামনে ওই যুবককে আটকের সময় পুলিশের সঙ্গে বাগবিত-া করতে দেখা যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের ভূঞারহাট এলাকার বাসিন্দা শহীদ মাস্কবিহীন অবস্থায় রিকশাযোগে শহরের উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে আসছিলেন। তার রিকশাটি মডেল স্কুলের সামনে পৌঁছালে ফেনী মডেল থানার দায়িত্বরত উপপরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা গতিরোধ করেন।
এ সময় ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকেন- ‘অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে।’ একপর্যায়ে তাকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকেন। পুলিশ তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চান যুবক। তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকেন- ‘এ দেশ পুলিশের দেশ।’
স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।
ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার জানান, রোববার ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ মডেল স্কুলের সামনে থেকে আটক যুবক শহীদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলেন। একপর্যায়ে তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা মানসিক সমস্যার কথা জানান। পরে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।