ভারতে করোনায় প্রতিদিনই সংক্রমণ ও মৃত্যুর নতুন নতুন রেকর্ড হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'ফাঁকা বুলি নয়, সমাধান চাই।'
করোনা আক্রান্ত হয়ে দিল্লির বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় নরেন্দ্র মোদী ফাঁকা বক্তব্য দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি বা ফাঁকা বক্তৃতা না দিয়ে দেশকে সমাধান দিন। করোনার কারণে ভারতে এই সংকট তৈরি হয়েছে এমনটা নয়। এই সংকট তৈরির মূল কারণই হলে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি। তার আগের দিন বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ভারত এখনও পর্যন্ত সুপরিকল্পিত কোনও পন্থা অবলম্বন করছে না। যখন দেশের মানুষ সংকটে পড়েছে তখন অক্সিজেন ও টিকা বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ তুফানের মতো আছড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে এগোতে হবে। দেশকে লকডাউন থেকে বাঁচাতে হবে। রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করবো, তারা যেন করোনার বিরুদ্ধে শেষ অস্ত্র হিসাবে লকডাউনকে প্রয়োগ করে। এদিকে, ভারতে এবার নতুন ধরনের 'ট্রিপল মিউট্যান্ট' করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তিনটি আলাদা স্ট্রেইন একসঙ্গে মিলে এই নতুন ধরনটি গঠন হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মিউটেশনের ফলেই দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, নতুন এই ধরন আরও বেশি সংক্রামক এবং বহু মানুষকে দ্রুত অসুস্থ করে তুলছে। করোনার তিনটি আলাদা স্ট্রেইন মিলে তৈরি ভাইরাসের এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতাও প্রায় তিনগুণ। নতুন এই করোনা প্রতিরোধে বিদ্যমান টিকাগুলো কতটা কার্যকর তা জানতে পরীক্ষা চলছে। তবে, গবেষকদের মতে, করোনা টিকা থেকে দেহে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তা সহজে ফাঁকি দিয়ে কোষে প্রবেশে করতে পারে ট্রিপল মিউট্যান্ট করোনাভাইরাস। বুধবার ভারতে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ১০২ জনের। এ পর্যন্ত ভারতে মোট মৃত্যু হয়েছে এক লাখ সাড়ে ৮৪ হাজারের বেশি। দেশটিতে একদিনে শনাক্ত তিন লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হয়েছে এক কোটি ৫৯ লাখ ২৪ হাজারের বেশি।