কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার বড়াইডাঙ্গী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষক ভূমিদস্যুর মামলার কারণে বারবার হয়রানির শিকার হচ্ছে। জমি জবর দখলেল চেষ্টা,মামলা দিয়ে হয়রানিসহ মেরে ফেলার হুমকি দামকি দিয়ে যাচ্ছে।এমতাবস্থায় তিনি মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে,মো:আব্দুল হাকিম অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সাদাকাত হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়। পিতা মৃত জনাব অলী জন্মস্থান চর সাজাই,কোদালকাটি। ভিটেমাটি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় বর্তমান উপজেলার বড়াইডাঙ্গী গ্রামে বসবাসরত।
জন্মস্থান উপজেলার কোদালকাটি হওয়ার সেখানে বসবাসকালীন সময়ে আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে চর সাজাই মৌজায় ,জেল নং-২৯,খতিয়ান নং-১৫৬,দাগ নং-২০৫৯ ও ২০৫৮ দাগে ২.৭৬একর জমির মধ্যে ১.৫৫একর জমি গত ১২/১০/৮৯ইং সালে ১০৪৭ নম্বর দলিল মুলে ৩১ শতক এবং ৭/১২/১৯৯২ সালে ১৫৭১ দলিল নম্বর মুলে ১.২৪ একর জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। যা বর্তমান বর্গা দিয়েছেন। বর্গাচাষী ওসমান ও আবুল হাশেম চাষাবাদ করে আসছে। জমির খাজনা,খারিজ ও ডিসিআর সহ সকল কাগজপত্র সঠিক।
কিন্তু বিবাদী নুরনবী পিতা মৃত আজিত মোল্লাহ গং প্রথমে ১৯/০৩/২০২০ইং সালে কোদাল কাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৬২ নং স্বারক মুলে তৎকালীন কোদাল কাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো.আব্দুর রহমান অর্থের বিনিময়ে আবদুল হাকিম মাষ্টারের জমির বিরুদ্ধে সরেজমিনে প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনের ধারা বাহিকতায় ২/৩/২০২১ইং তারিখে বিজ্ঞ আমলী আদালত রাজিবপুর অঞ্চল,কুড়িগ্রামে জাল দলিলের অভিযোগ এনে নুরনবী মামলা করে। সে খানে বিজ্ঞ আদালত দলিলপত্র যাচাই বাচাই করে কোন প্রমানাদী না পাওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন।
এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)আদালত,কুড়িগ্রাম আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু বিবাদী পক্ষ নুরনবী ,মেনাছ আলী, মিলন মিয়া,মোস্তফা,ফরিদ উদ্দিন,দুলাল মিয়া,ফরিদুল সহ অচেনা ১০/১২জন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে সামপ্রতিক লাঠিশোডা,সুরকি নিয়ে হাকিম মাষ্টারের ক্রয়কৃত জমিতে চাষাবাদকৃত ইরি/বোরো ধানী জমিতে সেচ দেওয়া বন্ধ করে এবং কিছু পতিত জমিতে ছাপড়া ঘর উঠায়। এমতাবস্তায় আবদুল হাকিম মাষ্টার চর রাজিবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সরে জমিনে গেলে নুরনবী গং ছাপড়া ঘরটি সরিয়ে নিয়ে যায়।
তবে যাওয়ার সময বলে যায় আমরা আবার জমিতে আসব। সেদিন জমি দখল করব, না হলে হাকিম মাষ্টারকে উঠিয়ে নিয়ে যাব।এ পরিস্থিতিতে হাকিম মাষ্টার ভূমি দস্যু নুরনবী গং এর রোসানল থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চান।