খাগড়াছড়ি মানিকছড়ি উপজেলার সাবেক জীপ চালক সমিতির সভাপতি এবং বর্তমান বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল ছাদেক(৬০)এর গলায় ফাঁস দেয়া লাশ বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করেছে মানিকছড়ি থানা পুলিশ।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডাইনছড়ি এলাকার মৃত আলী হোসেন এর মেঝ ছেলে আবদুল ছাদেক এক সময়ে জীপ চালক ও পরবর্তীতে চালক সমিতির সভাপতি ছিলেন। গাড়ীর চালক ও মালিক থাকাবস্থায় গত প্রায় দুই যুগ ধরে সে আন্ত: উপজেলার একজন বিশিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী বিপুল অর্থের মালিক হন।
সম্প্রতিকালে উপজেলার বাজারস্থ সাবেক খলিল সাহেব এর টিলায় মুসলিমপাড়ায় স্থায়ী বসবাস গড়ে তোলেন। ৫ মে বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টার পর বাড়ীর অদূরে বড় বহেরা গাছে গলায় ফাঁস দেয়া লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশিরা। পরে নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম ও ছেলে ওমর ফারুক(২৫) খবর পেয়ে ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশিরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
খবর পেয়ে কর্মকর্তা ইনচার্জ আমির হোসেন, বিষয়টি সিনিয়র পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে অবহিত করে উভয়ে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশের সুরতহাল শেষে আশেপাশের লোকজন, নিহতের স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। নিহত আবদুল ছাদেক ৭ ভাই, ২ বোনের মধ্যে চতুর্থ।
নিহতের উদ্ধারকৃত লাশের প্রাথমিক নমূনায় এটি আত্মহত্যা বলে পুলিশ ধারণা করলেও নিহতের ব্যবসা কেন্দ্রীক বা পারিবারিক কোন সত্রুতা আছে কিনা বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে। এদিকে এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মানিকছড়ি সার্কেল এর সিনিয়র পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, কাঠ ব্যবসায়ী আবদুল ছাদেক এর লাশের খবর পেয়ে দ্রুত কর্মকর্তা ইনচার্জসহ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। লাশের ধরণ দেখে আপাদত মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। তবে নিহতের ব্যবসা, পারিবারিক বিষয়সহ নানা বিষয় মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ক্লু উদঘাটনে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করছে।