নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুরে পূর্ব শত্রুুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় পিতা-পুত্র আহত ও গৃহবধূ শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত হাজী উসেন আলী(৬৫), পুত্র কাজল মিয়া(৩২), জুলেখা খাতুন(৪৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের এর সত্যতা নিশ্চিত করেন বাকলজোড়া ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর মো.সাদেক। ৪মে বুধবার দুপুরে নাগেরগাতী গ্রামে হাজী উসেন আলীর ফসলি জমিতে এ মারপিটের ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার রামনগর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ইদ্রিস আলী (৫০)এর সাথে ঢেড়শ খেত খাওয়া নিয়ে বিরোধ চলছিল। ৪মে বুধবার দুপুরে নাগেরগাতী হাজী উসেন আলীর ফসলি জমিতে ইদ্রিস আলীর ছাগল ঢেড়শ গাছ খেয়ে ফেলে। এর আগেও কয়েক বার ছাগল লাগলে মৌখিকভাবে ছাগল আসতে নিষেধ করে। দুইবার ঐ ছাগলকে খোয়ারে দেয়া হয়। এরই জের ধরে গতকাল আবারও ছাগল খেতে গেলে নিষেধ করায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ইদ্রিস আলী(৫০), ইসলাম উদ্দিন(৪৫) সানি মিয়া(২৬), ঝলক মিয়া(১৮) হামলাকারীরা হাজী উসেন আলী, কাজল মিয়া ও জুলেখা খাতুনকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে কাজলের মুখম-ল তেথলিয়ে দেয় ও গৃহবধূ জুলেখা খাতুনকে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা অপর পুত্র রতন মিয়াকেও লাটি-সোটা নিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। তারা আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনতে চাইলে নানা ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শণ করে। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় আহতদের উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্গাপুর থানার কর্মকর্তা ইন-চার্র্জ(ওসি) শাহ্ নুর-এ আলম জানান, মারপিটের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।