পাবনার চাটমোহরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত শনিবার (৮ মে) সকালে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত যুবক হলেন উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের দীঘলগ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে সুজন আলী (৩২)। এ ঘটনায় পুলিশ এক মহিলাসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান,চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা দীঘলগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল নবীর উদ্দিন ও তার ভাই দবির উদ্দিনের সাথে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে নবীর উদ্দিনের ছেলে এরশাদের স্ত্রী বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছের ডাল ভাঙ্গে। এনিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে এরশাদের ছোট ভাই সুজনসহ অন্যরা এগিয়ে যায়। এ সময় দবির উদ্দিন গং লাঠিসোটা নিয়ে সুজনসহ অন্যান্যের মারপিট শুরু করে। একপর্যায়ে সুজনের মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন দুই পক্ষকে নিবৃত করে আহত সুজন,তার পিতা নবীর উদ্দিন (৭০) ও বোন সোহাগী খাতুন (১৮) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা নিয়ে যাবার পথে রাত ১১টার দিকে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে রোববার ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা পাঠায়। শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে পুলিশ দবির উদ্দিনের স্ত্রী সামেলা খাতুন (৫০),রিপন হোসেনের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) ও মোসলেম উদ্দিন (৬০) কে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে নিহত সুজনের ভাই এরশাদ আলী বাদী হয়ে দবির উদ্দিনসহ ৭জনকে বিবাদী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
চাটমোহর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো.আমিনুল ইসলাম জানান,পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করার পরই অভিযান চালিয়ে ৩জনকে আটক করা হয়। ৭জনের নামে মামলা হয়েছে। বাকি আসামীদের আটকের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।