কক্সবাজারের মহেশখালীতে কয়লা ভর্তি ট্রাকের ভারে ভেঙ্গে পড়েছে একটি ব্রীজ। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ব্রীজ ভেঙ্গে গেলেও কোন ধরনের প্রানহানীর ঘটনা ঘটেনি। ভাঙ্গা ব্রীজের উপরেই রয়ে গেছে কয়লাবাহী ট্রাকটি। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী উত্তর কুল ও দক্ষিণ কুল নামক স্থানে স্থানীয় প্রত্যক্ষ দর্শী ও উপজেলা প্রকৌশলী সূত্রে জানায়, ২৪শে মে ভোর ৬ টার দিকে স্থানীয় রোকন ব্রীকস এর জন্য নিয়ে আসা একটি ট্রাক অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ব্রীজের উপর উঠা মাত্রই ব্রীজটি ধ্বসে পড়ে।
২৯ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১২ ফুট প্রস্বস্থ ব্রীজটি ১৯৮৭ সালে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নিমার্ন করা হয়। ১০ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্রীজটিতে যে কয়লাবাহী গাড়ীটি ধ্বসে পড়ে ঐগাড়ীতে কয়লা ছিল ১৩ মেট্রিক টন। গাড়ীসহ ২০ টন ওজনের দিগুন হওয়ায় ব্রীজটি ধ্বসে পড়ে।
অপরদিকে ৩টি স্পেনে নিমার্ণ করা ব্রীজটি বিগত কয়েক বছর পূর্বে থেকে স্পেন ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্রীজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় ছিল। ২০২০ সালে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে ব্রীজটির পাশ থেকে বালি ও মাঠি সরে গেলে কোনভাবে ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজ দিয়ে স্বল্প ওজনের গাড়ী চলাচল ছিল।
ব্রীজ ভাঙ্গা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান গত ১৩ই মার্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্র্রীজটির বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করে। চলতি বছরের ২৪ শে মার্চ (এস ইউ পি আর বি)এর নিকট নতুন ব্রীজ নিমার্ণের জন্য প্রস্তাবণা পাঠায়।
প্রকৌশলী সবুজ আরো জানায়, আগামীকাল ২৫ই মে এস ই অঞ্চল, এসিই অঞ্চল ও নির্বাহী প্রকৌশলী কক্সবাজারসহ একটি টিম ব্রীজের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত যাতায়াত ব্যবস্থা গ্রহনে উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
ট্রাকটি ১৩টন কয়লা নিয়ে কালারমারছড়া হয়ে ছোট মহেশখালীস্থ রোকন ব্রীকস আসার কথা। পথ ভুলে
ড্রাইভার গাড়ীটি উত্তর দিকে নিয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত ওজনের কারণে ব্রীজটি ভেঙ্গে যায়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত সময়ের মধ্যে বিকল্পভাবে ছোট যাতায়াতের গাড়ী সংযোগ স্থাপনের দাবি জানান।