সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে পাখির খাঁচাগুলো বের করলে আশে পাশের লোকজন ভরে যায় তার দোকানের চারপাশ। আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই আসেন দোকানে পাখিগুলোকে একনজর দেখতে ও তাদের কিচিরমিচির শুনতে।
রাজশাহীর বাগমারার ভবানীগঞ্জ বাজারের হাইস্কুল মার্কেটের সামনে বনফুল স্টুডিও পরিচালনা করেন মাহবুর (৪৫)। প্রায় ত্রিশ বছর এই পেশায় জড়িত থেকে তিনি ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছেন। হটাৎ ইউটিউব দেখতে গিয়ে একটি পাখির ভিডিও তার নজরকাড়ে। তিনি খোজখবর নেয়া শুরু করেন। পরে স্টুডিও’র একঅংশে পাখির খামার গড়ে তুলেন।
বর্তমানে তার খামারে বাজরিকা ও লাভবার্ড মিলে একশ’র অধিক পাখি রয়েছে। কিছু পাখি রয়েছে শিকারী ও পোষমানা। সেগুলো বাইরে ছেড়ে দিলে ঘুরে ফিরে আবার খাঁচার ফিরে আসে। এসব পাখি তার মাথায় হাতে বসে তার সাথে মজা করে। এতেই মাহবুরের মনপ্রান ভরে যায়। প্রতিদিন বেচাবিক্রি ভালোই হয়। বিশেষ খাঁচাসহ এসব পাখি বিক্রি হয়। এক জোড়া ছোট পাখির দাম দুই থেকে তিনশ টাকা।
শুরুতে পাখি পালতে নিষেধ করেছিল তার স্ত্রী সন্তানেরা। এখন তারাও মাহবুরের মত পাখি ভক্ত পাখি প্রেমিক। মাহবুর জানান, ছোট বেলা থেকেই পাখির প্রতি আমার আগ্রহ ছিল। এখন পাখির খামার গড়ে তুলতে পারায় আমি আনন্দিত। ভবিষ্যতে আরো বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এনে খামার বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। তিনি জানান এভাবে শখের পাখি পালন করে লাভবান হওয়া সম্ভব। শিক্ষিত বেকার যুবকরা আনায়াসে এই পেশায় আলোর মুখ দেখতে পারে।